রাজ্যের চার পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বাদ রাখা হয়েছে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন। তাতেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
রাজ্যের চার পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বাদ রাখা হয়েছে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন (Howrah Municipal Corporation)। তাতেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবি সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন কেন হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রথম থেকেই পাঁচ পুরসভা নির্বাচনের কথা বলেও কেন চার পুরসভার দিন ঘোষণা করা হল। এই নিয়ে তিনি একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।
আইনজীবি সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ইমেলের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে একটি ইমেল করা হয়। সেই ইমেল দ্রুত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। । তিনি বলেছেন, প্রথম থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছেন তারা একসঙ্গে পাঁচটি পুরনিগমের নির্বাচন করাতে পারবে। কিন্তু এখন কেন হাওড়া পুরনিগমের নাম ঘোষণা করা হল না। কেন চারটি পুরনিগমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিষয়গুলি জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ইমেল করা হয়েছে। আইনজীবির প্রশ্ন পাঁচটি বলে কেন চারটি পুরনিগমে ভোট করার কথা ঘোষণা করা হল। তবে আবেদনের শুনানি করে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারির চার পুরনিগমের সঙ্গে যদি হাওড়াতেও ভোট করাতে হয় তাহলে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে মঙ্গলবার। এদিন নির্বাচন কমিশনা চার পুরনিগমের ভোটের দিন ঘোষণা করলেও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তাই আইনজীবি রাতারাতি শুনানি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেনেছেন আদালতের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবি সোমেন্দ্রনাথ মুখোপাধঅয়ায় জানিয়েছিলেন হাওড়া বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তারপরেও কেন ওই পুরসভা ছাড়া বাকিগুলিতে নির্বাচনের দিন ঘষণা করা হল।
আইনজীবি সব্যসাচী জানিয়েছেন তাঁরা আগেই এই বিষয় নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। পাঁচটি পুরনিগমের নির্বাচন যাতে একই সঙ্গে করা যায় তাঁর জন্য তিনি দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানবিচারপতি। তবে তিনি এই মুহূর্তে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তাই ভার্চুয়াল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে হাওড়া পুরসভা ভোট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাওড়া বিলে সই করার আর্জি জানান হয়েছে। সূত্রের খবর রাজ্যপাল যদি মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যেও হাওড়া বিলে সই করেন তাহলে এই একই দিনে হতে পারে হাওড়ার ভোট। তবে সেই সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ রাজ্যপালও এই সময় রয়েছেন রাজ্যের বাইরে।