কোমার প্রথম ধাপে ঋষভ-দিব্যাংশু, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে পুলকার দুর্ঘটনায় জখম শিশুরা

  •  চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে  জখম ঋষভ এবং দিব্যাংশু 
  •  ঋষভ -দিব্যাংশু দুজনেই রয়েছে স্টেজ ওয়ান কোমায়  
  •  ধীরেধীরে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে শিশুরা 
  • তাদের সুস্থ করতে গিয়েই  নজির গড়ল এসএসকেএম  
     

Ritam Talukder | Published : Feb 17, 2020 11:12 AM IST

 চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ঋষভ এবং দিব্যাংশু। নতুন করে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুদে দুই ছাত্রকে সুস্থ করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাঁরা। ধীরেধীরে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে শিশুরা।

আরও পড়ুন, 'ফ্রেশ' আটার প্য়াকেট থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মাদক, গ্রেফতার ১

এসএসকেএম-র ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ছোট্ট দিব্যাংশু। তৃণমূল কাউন্সিলর পাপ্পু সিংয়ের ছেলে ঋষভের চিকিৎসা চলছে কার্ডিওথেরাপি ভাসকুলার সার্জারি বিভাগে। দুর্ঘটনার জেরে ফুসফুসে প্রচুর পরিমাণ কাদাজল ঢুকে গিয়েছিল ঋষভের। তাই একমো পদ্ধতিতে আপাতত শ্বাস নিচ্ছে খুদে। এছাড়াও সেন্ট্রাল লাইন করা হয়েছে তার। রবিবার রাতে ওই শিশুকে রক্তও দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঋষভ এবং দিব্যাংশু দুজনেই রয়েছে স্টেজ ওয়ান কোমায়। 

আরও পড়ুন, কয়েক সেকেন্ডে ক্যান্সার ধরে দেবে চিপ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেখালেন নয়া দিশা

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে অভিভাবক এবং পড়ুয়া-সহ মোট ১৪ জন পুলকারে চড়ে দিল্লি রোড দিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয়দের দাবি, প্রচণ্ড গতিতে যাওয়ার সময় কামদেবপুরে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি সিমেন্টের পোস্টে সজোরে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে পড়ে উলটে যায়। উদ্ধারের পর চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। তবে দিব্যাংশু এবং ঋষভ নামে দুই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আর তাদের সুস্থ করতে গিয়েই ফের নজির গড়ল এসএসকেএম। 

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঋষভের ফুসফুসে এখনও কাদাজল রয়েছে। এক্স রেতে ধরা পড়েছে। ব্রেনস্টেমে আঘাত লেগেছে তার। তবে দিব্যাংশুর ফুসফুস থেকে খানিকটা কাদাজল বের করা গিয়েছে। তবে তার মস্তিষ্কের আঘাত কতটা গুরুতর, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে তারা। আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দুই খুদের বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিলেও দুই খুদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের প্রত্যেকেই। তাই ফোনে এসএসকেএমের ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  শনিবার দুপুরে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও হাসপাতালে আসেন আহত শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে। রবিবার সন্ধেয় এসএসকেএমে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

Share this article
click me!