'আনিসের বাড়িতে আইন মেনে তল্লাশি চালায়নি পুলিশ', হাইকোর্টে 'শাস্তির' দাবি জানালেন এজি

ছাত্র নেতা আনিস খানের বাড়িতে আইন মেনে পুলিশি অভিযান হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে এমনটাই জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি।  

Web Desk - ANB | Published : May 17, 2022 12:59 PM IST / Updated: May 17 2022, 06:30 PM IST

ছাত্র নেতা আনিস খানের বাড়িতে আইন মেনে পুলিশি অভিযান হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে এমনটাই জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির প্রয়োজন বলেও রাজ্যের তরফে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে পাশপাশি সিটের তদন্তের উপরেও আস্থা রাখার কথাও বলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আনিস খানের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেড জেনারেল জানিয়েছেন, আত্মহত্যা করেননি ছাত্রনেতা আনিস খান। খুনও করা হয়নি তাঁকে। এজির বক্তব্য অনুযায়ী খুনের জন্য পুলিশের কোনও মোটিভ নেই। এমনকি আিসকে ব্যক্তিগতভাবে কেউ চিনতেনও না। তার কথায় আনিসের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় একটি মামলা ছিল। হিজাব সংক্রান্ত একটি পোস্ট নিয়ে জটিলতা ছিল। ঘটনার দিন আনিসকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ। সম্ববত সেইসময় পালানোর চেষ্টা করেন আনিস। তবে এদিন হাইকোর্টে এজি জানিয়েছেন, 'তল্লাশির ক্ষেত্রে পুলিশের যে নিয়ম মানতে হয়, এক্ষেত্রে সেটা মানা হয়নি।' ফলে ওই তল্লাশির সঙ্গে যুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তির কথা বলেছেন তিনি।তবে পাশপাশি সিটের তদন্তের উপরেও আস্থা রাখার কথাও বলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

যদিও হাইকোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি এসআইটি। ছাত্র নেতা আনিসখানের মৃত্যুতে দায়ের করা মামলার শুনানিতে এসআইটির রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে আদালতের চোখে। সিটের তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে এক গুচ্ছ প্রশ্ন আনিসের পরিবারের আইনজীবীর তরফেও রয়েছে। সিটের বিরুদ্ধে মূল অভিযুক্তদের বাঁচানোর অভিযোগ তুলেছে আনিস পরিবারের আইনজীবী। তাঁদের দাবি, মৃত্যুর আগে দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কিন্তু সেটা অবজ্ঞা করেছে সিট। ঠেলা ফেলা বা পড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। সিট সেটাও অস্বীকার করেছে। তাই সিবিআই তদন্ত নিয়ে সরাসরি খুনের ধারা প্রয়োগের আবেদন করেছেন বিকাশ ভট্টাচার্য।

শুনানিতে সিটের কাছে আদালতের প্রশ্ন, আনিসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁকে ৪১ এ পাঠানো প্রয়োজন ছিল। সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে কি। সেটার উল্লেখ নেই রিপোর্টে। আদালতের পরের প্রশ্ন ছিল, পুলিশ কর্মীরা সিড়ি দিয়ে উঠে কী দেখলেন। রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই কেন। আনিস যদি পালাতে গিয়ে পড়ে যায়, তাহলে কী ভাবে আইপিসি ৩০৪ ধারা প্রযোজ্য হবে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পালাতে গিয়ে পড়ে গেলে পুলিশ কীকরে দায়ী হবে। একই সঙ্গে সিটকে হাইকোর্টে জিজ্ঞাসা করেছে, আনিসের মৃত্য়ুর তদন্তে নেমে তাঁর পরিবারের কোনও সমস্যা ছিল কিনা সেটা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই প্রস্নের উত্তর অমিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আনিসের পরিবারের তরফে সিবিআই-র দাবি জানানো হয়েছে।

Share this article
click me!