করোনা রুখতে নয়া উদ্য়োগ, দূরত্ব বজায় রাখতে লক্ষণরেখা আঁকল পুলিশ

  • করোনা রুখতে সব জায়গায়  লকডাউন 
  •  ছাড় রয়েছে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায়  
  • যার জেরে রীতিমত উপচে পড়ছে ভীড় 
  • দূরত্ব বজায় রাখতে বৃত্ত আঁকল পুলিশ 

Ritam Talukder | Published : Mar 25, 2020 10:45 AM IST

করোনাভাইরাস রুখতে সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য় জুড়ে লকডাউন। এই মুহূর্তে কেউ লকডাউনের আইন লঙ্ঘন করলে দেওয়া শাস্তি। তবে ছাড় রয়েছে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায়। শাক-সব্জি, মাছ-মাংস, মুদির দোকান সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রেও রয়েছে এই জরুরী ছাড়। তাই দোকানপাট খোলা থাকার দরুণ বাজারে  উপচে পড়ছে ভিড়। সেই সময় যাতে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় থাকে, সে বিষয়ে এ বার উদ্যোগী হল এ রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। ক্রেতাদের মধ্যে কম করে এক মিটার দূরত্ব রাখতে পুলিশে তরফে নেওয়া হল অভিনব উদ্য়োগ। করোনা রুখতে উর্দি পরা পুলিশ এঁকে দিলেন সাদা রঙের বৃত্ত। আর সেই বৃত্ত উপর দাড়িয়ে কেনাকাটি করতে হবে গ্রাহকদের।

আরও পড়ুন, করোনায় মৃতের দেহ নিয়ে তুলকালাম, আড়াই ঘণ্টা ধরে জীবাণুমুক্ত করা হল শ্মশান


ইতিমধ্য়েই লকডাউন পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। বারে বারেই বলা হয়েছে 'সামাজিক দূরত্ব' বজায় রেখে জরুরী প্রয়োজন মেটাতে।  তাই এবার চক দিয়ে , কোথাও আবার সাদা রঙ দিয়ে রাস্তার উপরেই বৃত্ত এঁকে সুরক্ষারেখা টেনে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার কলকাতার বেশ কিছু এলাকার বাজারে ওই সুরক্ষারেখা টানার কাজ করেছে পুলিশ। এদিকে এখনও বাড়িতে খাবার মজুত করতে  অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন মুদি দোকান থেকে ওষুধের দোকানে। পাশাপাশি ভিড় হচ্ছে বাজারগুলিতেও। এদিকে চিকিৎসকরা তো বটেই প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকেও করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

আরও পড়ুন, লকডাউন লঙ্ঘনের শাস্তি, কলকাতায় গ্রেফতারের সংখ্য়া ১৩০০ ছাড়াল


 অপরদিকে লকডাউন থাকা অবস্থাতেই সাধারন মানুষের একাংশ নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না, তাতে বিপদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।ট্যাংরা, উল্টোডাঙার গুরুদাস দত্ত গার্ডেন লেন,নারকেলডাঙার কয়েকটি দোকানেও একই ছবি ধরা পড়েছে। উল্লেখ্য়, প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে সারা দেশে। ২১ দিনের জন্য এই লকডাউন জারি থাকবে।  করোনায় আক্রান্ত ক্রমশই বাড়ছে  ভারতে। ইতিমধ্য়েই আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ পেরিয়েছে। এখন দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৯। মৃত্যু হয়েছে মোট ১০ জনের। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কেরালা ও মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্য়েই কলকাতার এক পৌঢ় করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে আর ঝুকি নিতে চায় না, রাজ্য়  প্রশাসন।
 

আরও পড়ুন, আপাত স্বস্তি রাজ্য়ে,৪৬ জনের লালারসে পাওয়া গেল না করোনা

Share this article
click me!