বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রিটেনের রাজপরিবার জানিয়েছে, স্কটল্যান্ডে মৃত্যু হয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। রানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রিটেনের বাসিন্দা ও রাজপরিবারকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রিটেনের রাজপরিবার জানিয়েছে, স্কটল্যান্ডে মৃত্যু হয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। রানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রিটেনের বাসিন্দা ও রাজপরিবারকে।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, 'রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। ব্রিটিশ রাজপরিবার ও ব্রিটেনের জনগণকে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন রাজত্ব করার পর ব্রিটিশ রানির মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান ঘটেছে।'
সদা হাস্যময় এক রানি, যিনি গত ৮ দশক ধরে বিশ্বজুড়ে ছিল ব্রিটিশ রাজ পরিবারের গরিমার মুখ হিসেবেই নিজেকে উপস্থিত করেছেন। তিনি একাধিক ঝড়ও হাসি মুখে সামলেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ব্রিটেনবাসী। আবারও ব্রিটেনবাসী প্রমাণ করলে রাজপরিবার তাঁদের দেশের গণতন্ত্রেরই অংশ। রানির মৃত্যুতে তাঁরা যে অভিভাবক হারিয়েছেন সেই কথাই ফিরছে প্রতিটি নাগরিকের মুখে।
ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে 'রানি আজ বিকেলে মারা গেছেন। আজ সন্ধ্যায় বালমোরালে শায়িত থাকবেন তিনি। আগামিকাল লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ।' বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ডাক্তাররা তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই রাজপরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠরা স্কটল্যান্ডে চলে যায়। পরিবারের সকল সদসয্ই শেষ সময় রানির পাশে উপস্থিত ছিলেন। ব্রিটেনের রাজপরিবার থেকে দূরত্ব বাড়লেই হ্যারি ও মেগান মার্কলে শেষ সময়ে রানির পাশে উপস্থিত ছিলেন।
১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল জন্ম হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথের। তবে ব্রিটেনের রাজপাট যে তিনি সামলাবেন এমন কোনও কথা ছিল না। কারণ তাঁর বাবা প্রিন্স অ্যালবার্ট ছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জের ছোট ছেলে। তাই রাজা হওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিলেন অষ্টম এডওয়ার্ড। কিন্তু বিবাহবিচ্ছন মহিলা বিয়ে করার ব্রিটেনের সংহাসনের মোহ ছাড়তে হয় তাঁকে। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই ব্রিটেনের রানি হয় এলিজাবেথ। ১৯৫৩ সালের ২ জুন তাঁর রাজ্যাভিষেক হয়। তারপরই উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজদণ্ড তুলে দেন তিনি।
রানি হিসেবে দীর্ঘ দিন ব্রিটেনর মসনদে থাকার সময় তাঁকে একাধিকবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাঁর সিংহাসন মোটেও নিষ্কন্টক ছিল না। রানি হওয়ার পরই সন্তানদের অবহেলা করছেন- এমন সমালোচনা যেমন শুনতে হয়েছিল। তেমনি ডায়নার মৃত্যুর পরই কাঠগড়ায় দাঁড়কানো হয়েছিল ব্রিটেনের রাজপরিবারকে। সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয়নি রানিকেও। যাইহোক দীর্ঘ সময়ের রাজপাটের দায়িত্ব সামলেও তিনি কর্তব্যকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে বরিস জনসনকেও বিদায় জানানোর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি।