বন্ধ না হলেও গতি রুদ্ধ হল টালা ব্রিজের। রবিবার থেকে যাত্রী মালপত্র নিয়ে ৩টনের বেশি ওজনের গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না এই সেতু থেকে। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর আগে এই ঘোষণায় ভয়ানক হয়রানির মুখে পড়বে শহর।
টালা ব্রিজ নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিল না রাজ্য সরকার। রবিবার থেকে কোনও বাসই চালানো যাবে না এই সেতু দিয়ে। আপাতত শুধুমাত্র ছোট গাড়ি এবং পথচারীরাই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবেন। তার মধ্য়েও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কোনও গাড়ি ১০ কিলোমিটার গতিবেগ পেরোলেই আটকানো হবে সেই গাড়ি। ফলে পুজোর সময় বি টি রোড দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। যদিও, সাধারণ মানুষের হয়রানি যাতে কম হয়, তা নিশ্চিত করতে পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরমন্ত্রী জানান, মানুষের জীবন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত সেতুর যে যে জরুরি মেরামতি প্রয়োজন,অবিলম্বে সেই কাজও শুরু করা হবে। পুজোর পরে টালা ব্রিজ ভাঙা হবে কি না তা দেখা হবে।
এদিনই টালা ব্রিজের ওপর যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নোটিশ জারি করেছে পরিবহণ দফতর। যেখানে টালা ব্রিজের চাপ কমাতে পূর্ব রেল ও মেট্রো রেলর কাছে ট্রেন বাড়ানোর অনুরোধ করেছে পরিবহণ দফতর। বদল করা হয়েছে বাস রুটের। ডব্লিউবিটিসি-র নিয়ন্ত্রণাধীন ব্য়ারাকপুর-সাতরাগাছি রুটের বাসগুলি চিড়িয়ামোড় থেকে সেভেন ট্যাঙ্কস ,নর্থার্ন অ্যাভিনিউ,বেলগাছিয়া হয়ে শ্য়ামবাজারে গিয়ে উঠবে। একই রুট ধরবে এয়ারপোর্ট-নবান্ন এমনকী ডানলপ-বালিগঞ্জের বাসগুলি।
প্রাইভেট বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে এসপ্ল্যানেড-দমদম স্টেশন রুটের বাস আরজিকর বেলগাছিয়া রুট ধরে যাবে। গৌরীপুর-ধর্মতলার বাস শিয়ালদহ মানিকতলা রোড হয়ে যাবে।দক্ষিণেশ্বর থেকে পার্ক সার্কাস যাওয়ার বাাসগুলি দমদম রোড, নর্দান অ্যাভিনিউ ইন্দিরা বিশ্বাস রোড হয়ে যাবে। এদিন টালা ব্রিজের যান চলাচলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। সিপিকে ট্রাফিকের পরিস্থিতি বোঝান আধিকারিকরা।
নতুন রুটের ফলে যাত্রী ভোগান্তি যে বাড়বে তা ভালোই বুঝতে পারছে পরিবহণ দফতর। পুজোর সময় এমনিতেই ভিড়ে ঠাসা থাকে শ্যামবাজার চত্বর । সেদিক থেকে নতুন করে বাসের চাপ বাড়ায় যানজটের আশঙ্কা করেছন বাসের যাত্রীরা। অনেকেই ভাড়া বেশি হলেও মেট্রোতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। কিন্তু তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়েও চিন্তা রয়েছে অফিস যাত্রীদের। কারণ এমনিতেই ভিড়ের কারণে প্রায়শই মেট্রোর দরজা আজকাল অনেক সময়ই বন্ধ হচ্ছে না। শেষে আরও যাত্রীর চাপ নিয়ে মেট্রো কী করবে এখন সেটাই দেখার।