ফের বিতর্কে রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এবার আপাত নিরীহ কাজ করেই বিতর্ক উস্কে দিলেন বিধাননগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র।
এ যেন শাখের করাতের মতো অবস্থা। দলে থেকে 'দল বিরোধী' কাজের অভিযোগ ছিল আগেই। এবার তাতে নতুন মাত্রা জুড়ল মোদীর নামে যজ্ঞ। দেশের প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় ষজ্ঞ করাটা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ একটা কাজ। কিন্তু ঘাসফুলের অন্দরে উঁকি মারলেই বোঝা যাবে,সব্যসাচীর এই কাজে রাগে ফুঁসছে তৃণমূলের লোকজন। কালীঘাটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দলে থেকে মমতার গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সব্যসাচী। দল না ছাড়ায় তাঁকে কিছু বলতে পারছেন না তৃণমূল নেত্রী। অথচ দলে থেকেও বিজেপির মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছাড়াও একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। কদিন আগেই গণেশ চতুর্থীতে তাঁর পুজোয় দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। এমনকী মঞ্চে সব্যসাচীকে উৎসর্গ করে গানও গান কৈলাস।
মাঝরাতে অশালীন মেসেজ, ভিডিও কল, রায়গঞ্জের ভূগোল স্যরই ছাত্রীদের আতঙ্ক
মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা মমতার, টেক্কা দিলেন রাহুল, অখিলেশদের
সেই ঘা শুকোনোর আগেই ফের মোদীকে নিয়ে যজ্ঞ করে ঘাসফুল ব্রিগেডের চক্ষুশূল হলেন সব্যসাচী। এদিন সল্টলেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৬৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেন সব্যসাচী। এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় সব্যসাচী বলেন 'আমার ওয়ার্ডে ওই অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তাই গিয়েছিলাম। উনি কি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী? তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী কি দলের ঊর্ধ্বে নয় ? দলের লোক প্রশ্ন করতে চাইলে জবাব দেব। ' পরে অবশ্য সব্যসাচীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেন উত্তর ২৪পরগনার তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, 'ও যা পারে করুক। ওর কোন ভ্যালু নেই।'
বাজি, পায়েস, মিষ্টিমুখ, কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন, দেখুন ভিডিও
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে কথা, দিল্লি যাওয়ার আগে জানালেন মমতা, দেখুন ভিডিও
মঙ্গলবার ৬৯ বছরে পা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর ক্ষেত্রে অবশ্য বিরোধী অনেক নেতানেত্রীদেরই টেক্কা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী নেতানেত্রীদের মধ্যে কার্যত সবার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সকাল দশটার পরেও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীদের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জন্মদিনের কোনও শুভেচ্ছাবার্তা দেখা যায়নি। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতীরাও সকাল দশটা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে কোনও শুভেচ্ছা জানাননি।