দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সহ সভাপতি পদে শওকত মোল্লা আসতেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক কোন্দল। নিজেই সেই কথা প্রকাশ্য়ে স্বীকার করলেন তৃণমূলের ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। তিনি বলেন, জেলায় যে কিছু জায়গায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ হচ্ছে তা জানতে পেরেছি। কিছু পকেটে সমস্য়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন তা তারা মাথা পেতে নেবেন। শীঘ্রই এই ধরনের ঘটনা যেন না হয় , সেই বিষয়ে ব্য়বস্থা নিচ্ছেন তারা। তবে খোদ বিধায়ক এই কথা স্বীকার করে নেওয়ায়, প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের কোন্দল।
সম্প্রতি ২০২১-এর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলে ব্যাপক রদবদল করেছেন তৃণমূল নেত্রী। প্রবীণ ব্রিগেডকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে একাধিক জায়গায় তুলে এনেছেন নবীনদের। দলে কর্তৃত্ব কমাতে পর্যবেক্ষক পদই তুলে দিয়েছেন তিনি। অতীতে জেলা পর্যবেক্ষক হিসাবে অনেককে দায়িত্ব দিতেন তিনি। সূত্রের খবর, জেলা সভাপতিদের ওপর এই পর্যবেক্ষকদের কর্তৃত্ব অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই তড়িঘড়ি সেই পদই সরিয়ে দিলেন নেত্রী।
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক রাজনীতির ইতিহাস বলছে, কদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগণায় সহ সভাপতির পদে শওকত মোল্লাকে দায়িত্ব দেন মমতা। সূত্রের খবর, যা ভালোভাবে নেননি শুভাশিস চক্রবর্তীর লোকজন। অতীতেও শওকত মোল্লার সঙ্গে শুভাশিস চক্রবর্তীর লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে। এবার দায়িত্ব পেয়ে নিজেই সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে নিলেন খোদ বিধায়ক। তিনি বলেন, শুভাশিস চক্রবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকেই এই সমস্য়া শুরু হয়েছে। মূলত, মাদার আর যুব'র মধ্য়ে সমস্যা।
জানা গিয়েছে, জেলার যুব সভাপতির দায়িত্বে থাকায় শুভাশিস ব্রিগেডকে মেনে নিতে পারেনি শওকতের লোকজন। শোভন দায়িত্ব থেকে সরতেই শুভাশিস চক্রবর্তীকে দায়িত্বে আনেন নেত্রী। সেই থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। আগামী দিনে এই গোষ্ঠীকোন্দল আরও বাড়তে চলেছে তা শওকতের মন্তব্য় থেকেই পরিষ্কার।