রবিবার রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছলো ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার থেকে সাইক্লোন ইয়াস ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন এই প্রতিনিধি দল। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন সদস্যরা। সেখান থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করবেন তাঁরা।
সোমবার থেকে তিন দিনের সফরে তাঁরা ঘুরে দেখবেন দিঘা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা সহ ইয়স বিধ্বস্ত এলাকগুলি। সেখানে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করবেন আধিকারিকরা। সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রের হাতে। মঙ্গলবার একাধিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁদের। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন তাঁরা।
যে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এসেছে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব। এই দলে রয়েছেন কৃষি মন্ত্রক ও খাদ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও। বুধবার তাঁরা দিল্লি ফিরে যাবেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে গত বছর আমফানের পরেও কেন্দ্রীয় দল রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে। পুনর্নিমাণ ও ক্ষতির মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু ত্রাণকার্যে কোনও টাকাই মেলেনি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সোমবারই কেন্দ্রীয় দলটি দু'ভাগে ভাগ হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে যাবে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে চায় তারা। তারপর রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে দিল্লিতে গিয়ে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা।
তবে রাজ্য সরকারের তরফে প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির যাবতীয় বিবরণ সম্বলিত তথ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন। তাহলে কী তা যথেষ্ট বলে মনে করছে না কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে খাটো করে দেখার প্রবণতাই এখানে কাজ করছে বলে মত মমতা সরকারের আধিকারিকদের। তাই কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন।