রাত সাড়ে বারোটায় তালাবন্ধ ইডির দফতরে হাজির অভিষেক শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর!

নোটিশ হাতে নিয়ে রাত সাড়ে বারোটা বাজার কিছু আগেই তাঁরা পৌঁছে যান ইডির অফিসের সামনে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হল নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়া সেই সিজিও কমপ্লেক্সে আর কেউই ছিলেন না।

Parna Sengupta | Published : Sep 12, 2022 4:00 AM IST

আপাতত লাইমলাইটে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। শনিবার বিমানবন্দরে আটকে পড়ার পর থেকেই চর্চা তাকে নিয়ে। রবিবার গভীর রাতে ফের খবরের শিরোনামে মেনকা গম্ভীর। রবিবার গভীর রাতে তিনি আইনজীবীকে নিয়ে হাজির হয়ে গেলেন ইডির দফতরে। মেনকার আইনজীবীর দাবি তাঁদের নাকি তলব করা হয়েছিল রাত সাড়ে বারোটার সময়।

সেই নোটিশ হাতে নিয়ে রাত সাড়ে বারোটা বাজার কিছু আগেই তাঁরা পৌঁছে যান ইডির অফিসের সামনে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হল নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়া সেই সিজিও কমপ্লেক্সে আর কেউই ছিলেন না। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মেনকাকে ইডির তলব কেন, তা স্পষ্ট হয়নি। ইডির তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 

মেনকা বলেন, ‘‘আমায় নোটিস পাঠিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ডাকা হয়েছিল, সেই মতো এসেছি।’’ কিন্তু সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মূল ফটক তালাবন্ধ ছিল সেই সময়। এর পর ইডি দফতরের গেটে নিরাপত্তারক্ষীকে মেনকারা জানান যে, তাঁদের ডাকা হয়েছিল বলেই তাঁরা এসেছেন। এ কথা শোনার পর গেট খুলে দেন রক্ষী। তার পর হেঁটে লিফটে করে ইডির অফিসে যান মেনকারা। সে সময় অফিস তালাবন্ধ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পর কারও সাড়া না পেয়ে ফিরে যান।

এদিকে, শনিবার অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে ব্যাংকক যাওয়ার আগে আটকে দেয় অভিবাসন দফতর। ইডি-র নোটিসেই বাধা দেওয়া হয় বলে জানায় অভিবাসন দফতর। তাঁকে বিমানবন্দরেই বসিয়ে রাখা হয় প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এরপর এক ইডি আধিকারিক এসে তাঁকে সমনের নোটিশ ধরান। ফলে ব্যাংকক যাওয়া ক্যানসেল করে কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই বাড়ি ফিরে যেতে হয় মেনকা গম্ভীরকে।

শনিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ ব্যাংকক যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। রাত ৯টা ১০ মিনিটে ইন্ডিগোর বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। সেই উদ্দেশ্যে কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরের কাউন্টারে নিজের পাসপোর্ট এবং বিমানের টিকিট জমা দেন তিনি। কাউন্টারের তরফ থেকে তখনই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই উড়ানে চড়তে পারবেন না তিনি। ইডি-র তরফে একটি মামলায় তাঁর নামে তদন্ত চলছে। এরপর তাঁকে অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে বসতে দেওয়া হয়। মেনকা গম্ভীরের খোঁজ দিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরের তরফে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে ইমেল পাঠানো হয়। 

ইমেল পাওয়ার পরই কলকাতা থেকে এক ইডি অফিসার বিমানবন্দরে যান এবং মেনকার সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ইডি-র পক্ষ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না মেনকা গম্ভীর।

Read more Articles on
Share this article
click me!