কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পুরীতে শুরু হয়ে গেল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। জগন্নাথভক্ত মাত্রই জানেন এই দিনের মাহাত্ম্য। জৈষ্ঠ্যের পূর্ণিমা তিথিতে এই স্নানযাত্রা আয়োজন করা হয়। স্নানযাত্রাকে জগন্নাথেরক জন্মতিথি মনে করা হয়।
এদিন সকালে প্রথমে সুদর্শন বিগ্রহকে মন্দির চত্বরে স্নানবেদিতে নিয়ে আসা হয়। তার পরে একে এখে আসে বলভদ্র, জগন্নাথ ও দেবী সুভদ্রার বিগ্রহ। স্নানযাত্রা চলাকালে প্রথামাফিক পুরোহিতরা ১০৮ ঘড়া সুগন্ধী জল ফেলেন স্নানের জলে। এর পরে দেবতাদের বিগ্রহে গজানন পোশাক পরানো হয়। কথিত রয়েছে, জগন্নাথ গণেশভক্তদের কাছে টানতে গজানন পোশাক পরেন। প্রথাগত বিশ্বাস অনুযায়ী জগন্নাথ স্নানাত্রার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময়ে তাঁকে রাজবৈদ্যের অধীনে একটি সংরক্ষিত কক্ষে রাখা হয়। এই অসুস্থতার পর্বটিকে বলা হয় 'অনসর'। এই পর্বে জগন্নাথের দর্শনও পাওয়া যায় না। কথিত আছে রাজবৈদ্যের পাঁচন খেয়ে জগন্নাথ আবার সুস্থ হয়ে উঠলে ভক্তরা আবার তাঁর দর্শন পান।
এই দিনের অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ করার জন্যে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করে ওড়িশা প্রশাসন। শ্রীমন্দিরকে ঘিরে ছিল ৪২ পল্টন পুলিশ, নয় এএসপি, ১৬ ডিএসপি ছাড়াও স্পেশাল ট্যাকটিকাল টিমের অফিসাররা। গোটা শহরের যান চলাচল ঠিক রাখার জন্যে চারটি পার্কিং জোনের ব্যবস্থা করা হয়।
ফণীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল পুরীর। এমনকী শ্রীমন্দির সংলগ্ন বাগানের বহু গাছ উপড়ে যায়। ক্ষতি হয় মন্দিরের ভাস্কর্যেরও। সেই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছিল প্রশাসন। ধীরে ধীরে ছন্দে পৌঁছেছে পুরী। এদিন স্নানযাত্রার মধ্যে দিয়েই শুরু হয়ে গেল রথযাত্রার প্রস্তুতি।