অন্যত্র পালিয়ে যাননি, নিজের বাসভবনেই রয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। দফায় দফায় আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এই দুঁদে অফিসার।
শনিবার সকাল দশটায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার কথা থাকলেও যাননি রাজীব কুমার। তিনি এখন কোথায় তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। গতকাল রাত থেকেই এডিজি সিআইডির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সূত্রের খবর, কলকাতা বিমানবন্দরে রাত থেকেই সাদা পোশাকে রয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তবে শোনা যাচ্ছে, অন্য কোথাও নয়, ৩৪ পার্কস্ট্রিটেই রয়েছেন রাজীব কুমার। ডেপুটি পুলিশ কমিশার সাউথ ডিভিশনের এই ভবনেই এখন থাকেন তিনি। তবে পাশের কোনও বাড়িতেও থাকার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না সিবিআই। কিন্তু পাকা খবর না হলে অন্য কোনও বাড়িতেও হানা দিতে পারছে না তারা।
এদিন সকালেই সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর সাই মনোহর আরমানে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান। পরে নিজাম প্যালেসে আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করার কথা রয়চে তাঁর। সেখানেই রাজীব কুমার সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা গেছে,দিল্লি থেকে নির্দেশের অপেক্ষা করছেন কলকাতার আধিকারিকরা। যতদূর ধারণা,আজ আর সিবিআইয়ের কাছে আসবেন না রাজীব। সেক্ষেত্রে তাঁকে ফের তলব করতে পারে সিবিআই।
গতকালই রাজীবের রক্ষাকবচের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে হাইকোর্ট। এরপরই কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে জেরা করতে তৎপর হয় সিবিআই। হাইকোর্টে বিচারপতি মধুমতী মিত্রর পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বিধাননগরের তৎকালীন সিপি রাজীব কুমার সিটের সদস্য ছিলেন। সেই সময় মামলায় যুক্ত থাকা যে সিনিয়র অফিসাররা ছিলেন, তারা অনেকেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন। একজন দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে রাজীব কুমারের উচিত তদন্তে সাহায্য করা। তাই শুধুমাত্র রাজীবকে যে টার্গেট করা হয়েছে এটা প্রতিষ্ঠিত নয়। সিবিআই তাদের এক্তিয়ারের মধ্যেই কাজ করছে৷ ফলে আদালতের এক্ষেত্রে কিছু বলার নেই। সিবিআই ৪১ এ তে রাজীবকে নোটিশ দিয়েছিল। নোটিশ দেওয়া মানেই গ্রেফতারি নয়। রাজীবকে বারবার তদন্তের জন্য নোটিশ দেওয়া মানেই গ্রেফতার নয়। সিবিআইয়ের বারবার প্রশ্ন করা তো তদন্তেরই অঙ্গ। এতে রাজীবের যে মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে,তা মোটেই নয়।