ঐতিহ্যময় শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো

  • এই বাড়িতে মা দুর্গা বৈষ্ণবী রূপে পূজিত হন
  • কামানের তোপ দেগে সে যুগে শুরু হত সন্ধিপুজো
  • বাড়িতে বানানো ৩৩ রকমের মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়া হয় মা-কে
  • উত্তর কলকাতার রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটে অবস্থিত এই শোভাবাজার রাজবাড়ি

deblina dey | Published : Sep 3, 2019 10:52 AM IST / Updated: Sep 23 2019, 02:03 PM IST

কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে হয় পুজোর বোধন। সেই দিন থেকে ষষ্ঠী অবধি এই বাড়িতে চণ্ডীপাঠের ধ্বণী উচ্চারিত হয় এই বাড়িতে। এটি হল উত্তর কলকাতার অন্যতম এক বনেদি বাড়ির পুজো শোভাবাজার রাজবাড়ি। রাজা নবকৃষ্ণ দেব ১৭৫৭ সালে এই পুজোর সূচনা করেন। 

বর্তমানে এই পুজো কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হলেও পালন করা হয় সেই সাবেকি রীতি মেনেই। এ বছর শোভাবাজার রাজবাড়ির এই পুজো ২৩০ বছরে পদার্পণ করল। এই বাড়িতে পুজোর জন্য শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস উপস্থিত হয়েছিলেন। শোনা গিয়েছে, তিনি টানা ৯০ দিন এই বাড়িতে পুজো করেছিলেন। উত্তর কলকাতার রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটে অবস্থিত এই শোভাবাজার রাজবাড়ি। পলাশীর যুদ্ধের পর রবার্ট ক্লাইভ, এই রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচণা করেন।

আরও পড়ুন- সাবর্ণ রায়চৌধুরী আটচালা দুর্গাপুজো, আটটি বাড়িতে পূজিত হন মা দুর্গা

এই রাজবাড়ির দেবীমূর্তির রয়েছে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই বাড়িতে মা দুর্গা বৈষ্ণবী রূপে পূজিত হন।  পুজোর অন্নভোগ হিসেবে গোটা আনাজ, গোটা ফল, চাল, মতিচুর, গজা সহ বাড়িতে বানানো ৩৩ রকমের মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়া হয় মা-কে। কামানের তোপ দেগে সে যুগে শুরু হত সন্ধিপুজো। রাজা নবকৃষ্ণ দেব, উল্টোরথের দিন করতেন কাঠামো পুজো। সে সময় এক রূপোর কারুকাজ করা সোনার সিংহাসনে মা দুর্গাকে বসানো হত। সেই সময় রাজবাড়িরতে পশুবলির নিয়মেরও চল ছিল। দশমীর দিন নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে পালন করা হত দশমীর রীতি। 

তবে বর্তমানে সেই সময়ের অনেক রীতিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শোলার নীলকন্ঠ পাখি বানিয়ে গ্যাস বেলুনের সাহায্যে তা উড়িয়ে অথবা মাটির পাখি বানিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে পালন করা হয় পুজোর নিয়ম। এই পরিবার নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে মহাদেবকে মায়ের রওনা হওয়ার খবর দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় এই রীতি।

Share this article
click me!