বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি গিয়েছেন শোভন। সঙ্গে সঙ্গেই শহরে শুরু হয়ে গিয়েছিল জল্পনা। অনেকেই বলছিলেন শোভনের বিজেপি যোগ এবার আর কেউ আটকাতে পারবে না। তবে সেই সমস্ত সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র নিজেই।
বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে মুখ্যমন্ত্রীর আদরের কাননে বিজেপির কোর্টে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিত 'দরজা খোলা' এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এক সময়ে তাঁকে অনেকটা দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন। বৈশাখী ঘনিষ্ঠতা, রত্নাদেবীর সঙ্গে ঝামেলা কিছুই আর গোপন থাকেনি শোভনের। কর্তব্যে শিথিলতার কারণেই ক্ষুব্ধ হন মমতা। তবে ভোট বড় বালাই। ভোট মিটতে যে ঘর ভাঙার খেলা শুরু হয়েছে তাতে অনিবার্য ভাবেই আবার পুরনোদের 'ঘর ওয়াপাসি' চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। শোভনের মান ভাঙানোর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তৃণমূল মহাচসচিবকে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন রতন মুখোপাধ্যায়ও।
তবে সূত্রে খবর মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চিন্তান্বিত ছিলেন শোভনের দলবদল নিয়ে। তাই শোভনের এলাকার কাউন্সিলারদের বিধানসভায় ডেকে কথাও বলেন তিনি। এই অবস্থায় শোভন দিল্লি গেলে তুমুল জল্পনা তৈরি হয় শহরে। শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানাচ্ছেন ব্যক্তিগত কারণেই দিল্লিতে গিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত আগামী বছর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। শোভনকে দলে টানতে পারলে পুরভোটের আগে তৃণমূলকে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারবে বিজেপি। কারণ লোকসভা ভোটের নিরিখে কলকাতার অন্তত পঞ্চাশটি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। বিশেষ সূত্রের খবর শোভনের অঞ্চলের অনেক কাউন্সিলার ভোটের আগে থেকে যোগাযোগ রাখছে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে। ৬৪ জন কাউন্সিলর রয়েছেন সেই তালিকায়। দলের এত বড় ভাঙন রুখতে মরিয়া দলনেত্রী এখন আবার ফিরে পেতে চাইছেন সেই পুরনো দিন। ভয় একটাই। শোভন যদি বলে বসে, যাক যা গেছে তা যাক।