
এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী, বর্তমান শিল্প মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সঙ্গে আটক করা হয়েছে পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। যেই অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির বিলাসবহুল আবাসন থেকেই শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয় পাহাড় প্রমাণ টাকা। যেই ছবি নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্য থেকে শুরু করে দেশকে। তারপরই নয়া মোড় নেয় এই এসএসসি দুর্নীতির তদন্ত। ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করে ইডি। এদিকে ইডির তদন্তকারীরা অফিসারের জানতে পারে শুধু ওই পাহাড় প্রমাণ টাকাই নয়, গয়না, বিদেশী মুদ্রা সহ একাধ্িক সম্পত্তিও রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। বেলঘড়িয়াতে ইতিমধ্যেই দুটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের যে দটি ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে সেগুলির অবস্থান বেলঘরিয়া রথতলা এলাকায়। সেখানে ক্লাবটাউন হাইটস বলে এক অভিজাত আবাসনে রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট। একটি ব্লক টু-য়ে, অন্যটি ব্লক ফাইভে। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটের একটি পরিমাপ প্রায় ১৫০০ বর্গ ফুট ও আর একটির পরিমাপ ১৭৫০ বর্গ ফুট। ফলে ফ্ল্যাটের পরিমাপই বলে দিচ্ছে কতটা বড় ও বিলাসবহুল। প্রতিবেশীদের অনুমান, যে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার, সেগুলির একটি দাম প্রায় ৭০-৭৫ লাখ এবং অন্যটির দাম আনুমানিক ৮৫ লাখের আশপাশে। সেই ফ্ল্যাটের পরিচর্যা বাবদ ২০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবাসনের ফ্ল্যাট অনার্স এর সম্পাদক। বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে থাকেন অর্পিতার মা। উল্লেখ্য, এই আবাসনেই দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়েরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
আরও পড়ুনঃঅর্পিতা-র পর ইডি-র নজরে আরও একজন পার্থ সহযোগী, মিলেছে ১০টিরও ফ্ল্যাটের হদিশ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধে থেকেই খবরের শিরোনামে মডেল ও অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত যা খবর অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির বিলাসবহুল আবাসন থেকে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে তার পরিমাণ প্রায় ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। উদ্ধার হয়েছে সরকারি খামে টাকা। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার গয়না। ৫৪ লক্ষ টাকা বিদশী মুদ্রা সহ একাধিক সম্পত্তির হদিশ। এই মডেল অভিনেত্রীর কাছে এত টাকা এল কী করে, তার আয়ের উৎস কী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক এই সকল বিষয় তদন্তের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছেন ইডির তদন্তকারীরা।