করোনা মোকাবিলায় রাজ্য়জুড়ে চলছে লকডাউন। এদিকে এই পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবায় কাউকে বাইরে বেরোতে হলে রাজ্য়ে চালু নির্দিষ্ট রুটের কিছু বাসের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু সেই সংখ্য়া সীমিত। এবং তা নির্দিষ্ট সময় ছাড়া পাওয়া যাবে না। তাই এবার শহরবাসীকে জরুরি পরিষেবা দিতে ট্যাক্সি চালুর প্রক্রিয়া শুরু হল রাজ্য়ের পরিবহণ দফতরে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন, লকডাউনের মধ্যে জরুরি পরিষেবার জন্য় যাতায়াতের জন্য আংশিক ভাবে ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। আর এটা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু করেছে পরিবহণ দফতর। গতিধারা প্রকল্পের আওতায় থাকা ট্যাক্সি ছাড়াও আগ্রহী ট্যাক্সিচালকদের তালিকা হচ্ছে। বিভিন্ন অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা ও ট্যাক্সি ইউনিয়নের সঙ্গে ইতিমধ্য়েই কথা বলছেন আধিকারিকেরা।অবশ্য় ট্যাক্সি সংগঠনগুলি পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ মেলায় খুশি। সূত্রের খবর,পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে, সংক্রমণের আশঙ্কা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সংক্রমণের আশঙ্কা কী ভাবে এড়ানো যাবে, সেই বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকা বেছে নিয়ে বা নির্দিষ্ট থানা ধরে ওই আপৎকালীন পরিষেবা চালু করা হতে পারে। সূত্রের খবর, গড়িয়াহাট, গড়িয়া, বেলেঘাটা কানেক্টর, এসপ্লানেড, শিয়ালদহের মতো কিছু জায়গা অগ্রাধিকার পেতে পারে। তবে কোথায়, কতগুলি গাড়ি পরিষেবা দেবে বা কতটা সময় এই জরুরী পরিষেবা মিলবে তা চূড়ান্ত হয়নি। পরিষেবা চালু হলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফোনে যোগাযোগ করলে যাত্রীরা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ক্যাব বা ট্যাক্সি পাবেন।