রাজ্য়ে ১০টি করোনা হট স্পটে পুরোপুরি লকডাউন,সংক্রমণ রুখতে সিদ্ধান্ত নবান্নের

  • করোনা রুখতে পুরোপুরি লকডাউন
  • কিছু এলাকায় এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত
  •  ১০টি করোনা হট স্পটে এই লকডাউন 
  • কোথায়, কোথায় জারি  হতে পারে এই নির্দেশ

Asianet News Bangla | Published : Apr 11, 2020 7:16 AM IST / Updated: Apr 11 2020, 01:32 PM IST

রাজ্য়ে করোনা রুখতে এবার পুরোপুরি লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য় সরকার। আগামী সপ্তাহের মধ্য়ে রাজ্য়ে ১০টি করোনা প্রভাবিত হট স্পটে এই লকডাউন জারি করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, গত তিন সপ্তাহ ধরে যে সব এলাকা থেকে বেশি করোনা সংক্রমণের কেস আসছে, সেই এলাকাগুলিকেই প্রথমের তালিকায় রাখা হচ্ছে।

জরুরি কাজে ট্য়াক্সি প্রক্রিয়া শুরু পরিবহণ দফতরে, শহরের কোথায় মিলবে পরিষেবা জানুন বিস্তারিত.

একাধারে দ্বৈত চিত্র। একদিকে লকডাউনে ছাড়পত্র পাচ্ছে একের পর এক বিক্রেতা। অসংগঠিত শ্রমিকদের কথা ভেবে মিষ্টি, ফুলের পর বিড়ি শ্রমিকদেরও লকডাউনে কাজের ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। অন্য়দিকে, বিশেষ এলাকায় বাড়ানো হচ্ছে তৎপড়তা। রাজ্য়ের করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান বলছে, বিগত দিনে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি থেকেই একাধিকে রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। সেকারণে করোনা মোকাবিলায় আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না নবান্ন। রাজ্য়ে করোনার হট স্পট নির্ধারণ করে দ্রুত জায়গাগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটছে সরকার।

ফোন করলেই মোটা টাকায় হোম ডেলিভারি মদ, বেআইনিভাবে বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশে জালে চক্র..

শুক্রবার এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভা ছাড়াও জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আলোচনা করেন মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা। পুরসভা ও জেলার প্রতিনিধিদের এইসব এলাকার পরিধি ও জনসংখ্য়া সম্পর্কে তথ্য রাখতে বলেন তিনি। পাশাপাশি ১০ করোনা হট স্পটে লকডাউন হলে ঢোকা-বেরোনোর পথ কী হবে তাও বিবেচনা করে রাখতে বলেন মুখ্য়,চিব। 

জানা গিয়েছে, এই নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে কয়েকদিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।  ফলে আগামী কয়েকদিন ওই জায়গায় কেউ ঢুকতে কিংবা বেরোতেও পারবেন না। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কেউ বেরোতে চাইলে ঢোকা বা বেরোনোর সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষা 'মাস্ট'। এছাড়াও  এলাকায় গত কয়েকদিনের মধ্যে কারা যাতায়াত করেছেন, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে। এই কদিন নিয়মিত চলবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। 

লকডাউন বাড়ানোর আগেই হাইকোর্টে ছুটি ৩০ এপ্রিল অবধি, সঙ্গে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব..

মুখ্য়সচিব বলেন, সাধারণ মানুষের আতঙ্কের কথা ভেবেই করোনা হটস্পট নির্ধারিত এলাকাগুলির নাম রাজ্য় সরকার ঘোষণা করবে না।  এতে মানুষের মধ্য়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তবে নবান্ন সূত্রে খবর,আলিপুর, পন্ডিতিয়া রোড, মুদিয়ালি,বড়বাজার, নয়াবাদ, উত্তর ২৪ পরগণার বেশকিছু অঞ্চল,বেলঘড়িয়া, হাওড়ার শিবপুর ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের এগড়া ও কালিম্পংয়ের ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হতে পারে। এইসব এলাকাগুলিকেই পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনতে পারে রাজ্য়।

প্রশ্ন জাগে  ,লকডাউনের পাশাপাশি কী এই কমপ্লিট লকডাউন। নিজেই সেই প্রশের উত্তর দিয়েছেন মুখ্য়সচিব। রাজীব সিনহা জানিয়েছেন,কলকাতার বুকে কোনও একটি নির্দিষ্ট রাস্তা বা গলিকে লকডাউনের আওতায় আনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই রাস্তা বা গলি সংলগ্ন সব বাড়ির  বাসিন্দাদের বাইরে বেরোনো কিছুদিনের জন্য় বন্ধ করতে হবে। একইভাবে কোনও গ্রামকে কমপ্লিট লকডাউনের আওতায় আনা হলে সেই  নির্দিষ্ট পঞ্চায়েতের নিত্য়দিনের জীবনধারা নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

জানা গিয়েছে, কোনও জায়গায় পুরোপুরি ললকডাউন হলে কারফিউয়ের মতো পরিস্থিতি হবে সেই এলাকাগুলির। এলাকার বাইরে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হবে। স্থানীয় বাজার এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে। সেক্ষেত্রে এলকাবাসীর রসদের জোগানের ব্য়বস্থা করবে সরকারই। মুখ্য়সচিব জানিয়েছন, ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই এরকম কঠোর সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে হচ্ছে রাজ্য় সরকারকে। 

Share this article
click me!