কয়েক দশক আগে মহানগরের বুকে হানা দিয়েছিল স্টোন ম্য়ানের আতঙ্ক। সেবার রাস্তার ধারে শুয়ে থাকা মানুষদের পাথরের আঘাতে মেরে ফেলছিলেন এক ব্য়ক্তি। এবার চলন্ত ট্রেনে পাথর হানায় যাত্রীদের জখম করছে স্টোনম্যান।
ফের চলন্ত ট্রেনে স্টোন ম্যানের হামলা। ঘটনা সেই বনগাঁ-শিয়ালদা লোকালে । সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ মধ্যমগ্রাম স্টেশন ছেড়ে বনগাঁর দিকে এগোচ্ছিল । ট্রেন হৃদয়পুর স্টেশনে ঢোকার কিছু সময় আগেই একটা জায়গা থেকে পাথর ছোড়া হয় । পাথরের আঘাতে গেটে দাঁড়িয়ে থাকা মিহির ঘোষ নামে মাঝ বয়সী এক যাত্রী আঘাত পান। দ্রুত গতিতে আসা পাথরে তাঁর মুখ ফেটে যায় । চলন্ত ট্রেনে কোনও ভাবে রুমাল চাপা দিয়ে তাঁর রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করে সহযাত্রীরা । তারপর রাতেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে । সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন অশোকনগর পাঁচ নম্বর এলাকার বাসিন্দা পেশায় সেলাই কর্মী মিহিরবাবু ।
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক অতীত বলছে, চলতি মাসের ১৩ তারিখ দত্তপুকুর ও বামনগাছি স্টেশনের মাঝামাঝি একটি জায়গায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। পাথর ছোড়ার ঘটনায় জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা বছর সাতের একটি মেয়ের নাক ফেটে যায় । ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই বনগাঁ জিআরপির তরফে নিত্যযাত্রীদের সুরক্ষা দিকে নজর দেওয়া হয়।রেলের তরফে শুরু হয় সচেতনতামূলক প্রচার । মূলত বনগাঁ থেকে বামনগাছি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্টেশনের রেললাইন সংলগ্ন ঝুপড়িবাসীদেরই পাথর না ছোড়ার বিষয়ে বোঝানো হয়। চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া বা বাজি ছোড়া যে আইনত অপরাধ তা বোঝানোর চেষ্টা করেন রেলের কর্মীরা। কিন্তু সেই প্রচার যে কাজে আসেনি ফের তা একবার প্রমাণিত হল মঙ্গলবারের এই ঘটনায়। যার জেরে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।