রাজ্য একটি ছোট বিমান ভাড়া নিতে চায়।তার জন্য ইতিমধ্যেই একটি ই-টেন্ডার ডাকা হয়েছে। আর টেন্ডারের ছবি দিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বিমান ভাড়া নেওয়া ইস্যুকে কটাক্ষা করে 'স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পক রথ' বলে বর্ণনা করেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী এখানেই থামেননি। সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের রীতিমত সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, 'রাজ্য সরকার একটি ১০ আসনের বিমান নিতে চাইছে। সেইমত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারের জন্য তাঁকে গোটা দেশে ঘুরতে হবে।' সরকারি ব্যয়ে তাই করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তেমনই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু রাজ্য সরকারের ডাকা ই-টেন্ডারটিও প্রকাশ্যে এনেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার চাইছে আগামী ৩-৫ বছরের জন্য একটি ১০ আসনের ছোট বিমান ভাড়া নিতে। বিমানটি মাসে ৪৫ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিমানটি ফ্যালকন২০০০ মডেল বা তার সমতুল হবে। রাজ্য পরিবহন দফতরের মাধ্যমেই এই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ই-টেন্ডারটি ৯ পাতার।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিজেপির বিপর্যয় ঘটেছে। বিরোধী বাম আর কংগ্রেসের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। তৃতীয় বার ক্ষমতা দখলের পর রাজ্যের শাসকদল রীতিমত আত্মবিশ্বাসী। আগামী দিনে তৃণমূল জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। বিজেপি বা মোদী বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে বড় রকম প্রচেষ্টা চালাচ্চে। কথা বলছে শরদ পাওয়ারসহ বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদদের সঙ্গে। দলের সর্বভাবরতী সাধারণ সম্পাদক হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও সেই দিকেটিতেই আক্রমণ করতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও তৃণমূল নেতা সৌগত রায় শুভেন্দুর সমালোচনাকে পাত্তা দিতে নারাজ। তিনি বলেছেন অনেক রাজ্যেরই নিজস্ব বিমান থাকে।