
একে একে ফের পদ্ম শিবির ছেড়ে পুরনো দলে ফিরেছেন অনেক সতীর্থই। কিন্তু তাতে খানিক অভিমান হলেও এখনও রাম নামেই লড়াইয়ের রাস্তায় রয়েছেন বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম পোড় খাওয়া মুখ শুভেন্দু অধিকারী(Subhendu Adhikari)। এদিকে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে(Assembly elections) রাজ্যে পদ্ম ফোটার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ বেলায় ঘাসফুল ঝরে তীরে এসে তরি ডোবে বিজেপি-র। কিন্তু নন্দীগ্রামে মমতাকে শুরু থেকেই জোর টক্কর দেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু। এমনকী অতনাটকীয় ভাবে জয়ও আসে তাঁর। গোটা বাংলায় তৃণমূল জিতলেও নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কারণেই ধাক্কা খায় তৃণমূলের বিজয়রথ। হেরে যান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো(Trinamool supremo)। ১৫ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিনে(Birthday of Shuvendu Adhikari) আজ খানিক ফিরে দেখার চেষ্টা তারই রাজনৈতিক উত্থান।
আজ থেকে ৫১ বছর আগে ১৯৭০ সালে ১৫ ডিসেম্বর জন্ম শুভেন্দু অধিকারীর। ছোটবেলা থেকেই বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিবারে। সহজ কথায় শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী শিশির অধিকারীর পুত্র। বাবা-কাকা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে। আর সেই কারণেই কিশোর বয়সেই রাজনীতির যুক্ত হয়ে যান শুভেন্দু। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার আগে শুভেন্দু কন্টাই কলেজ থেকে স্নাতক হন। ২০০৬ সালে শুভেন্দু অধিকারী কাঁথি (দক্ষিণ) থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হন। তবে, বেশিদিন বিধায়ক থাকতে হয়নি, ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি। সেই সময় শিল্প দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্যও নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। ২০১৪ সালে সেই তমলুক থেকেই ফের জয়ী হন শুভেন্দু। যদিও ২০১৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে ফের দাঁড় করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্বাচনে জেতার পরই শুভেন্দুকে পরিবহণ-সহ একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-পথে বাধা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, আগামী কয়েকদিনে আদৌও কী জাঁকিয়ে পড়বে শীত
কিন্তু ২০১৯ সালের শেষ লগ্ন থেকেই তৃণমূল থেকে বন উঠতে শুরু করে তার। ভোটের আগে রাজ্যে গেরুয়া আভাস দেখা দিতেই ২৭ নভেম্বর ২০২০ সালে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী সভা থেকে ইস্তফা দেন। এরপর ১৬ ডিসেম্বর তিনি বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। আর তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ১৭ ডিসেম্বর তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তৃণমূলের সমস্ত সদস্য পদ ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তার হাত ধরে রাজ্যে পালাবদলের ডাক দেয় দিলীপ ব্রিগেড। যদিও তাতে বিশেষ সুবিদা করতে পারেনি বিজেপি। বর্তমানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।