রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলের বিধায়কের কার্যত হাতাহাতির পরিস্থিতি বিধানসভায়। পরষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়ের সঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর বচসার জেরে রীতিমতো তুলকালাম কাণ্ড। কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেন অন্যান্য বিধায়করা। ঘটনার জেরে পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়কে দেড় আনার মন্ত্রী বলে কটাক্ষ করলেন বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।
এ দিন বিধানসভায় রাজ্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নির্দিষ্ট সময়েই বিধানসভায় চলে আসেন বিরোধী দলের বিধায়করা। অভিযোগ, বিরোধীরা হাজির থাকলেও বিধানসভায় হাজির ছিলেন না অধিকাংশ মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাঁকুড়ায় ছিলেন। এই অবস্থায় বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য কেন মন্ত্রীরা উপস্থিত নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী বিধায়করা। এর পরেই মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে বিধানসভা কক্ষে ঢোকেন পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়। তখন বিরোধীদের তরফে কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী তাপসবাবুর কাছে প্রশ্ন করেন, বিধানসভায় ঢুকতে তাঁর এত দেরি হলো কেন? বাম- কংগ্রেস বিধায়কদের অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে তাপস রায় নিজের আসনের দিকে না গিয়ে মনোজ চক্রবর্তীর দিকে তেড়ে যান। দু' জনের মধ্যে প্রবল বচসা শুরু হয়। মন্ত্রী ও বিধায়কের মধ্যে কার্যত হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। কোনওক্রমে দু' জনকে নিরস্ত করেন বাকি বিধায়করা।
এই ঘটনাকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বিধানসভায় ঢুকে গোটা ঘটনার জানার পর নিন্দা করেন। কিন্তু বিরোধীরা দাবি করেন, পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়কে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত তা করেননি পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী।
বাম পরিষদীয় দলের নেতা এবং বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর বলেন, 'বাজেট নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রীরা ছিলেন না। তার উপর নিয়ম ভেঙে বিধানসভা কক্ষের মধ্যে মোবাইল-এ কথা বলতে বলতে ঢোকেন পরিষদীয় প্রতি মন্ত্রী। মনোজবাবু তার প্রতিবাদ করতেই দেড় আনার মস্তানের মতো তাঁর দিকে তেড়ে যান তাপসবাবু।'