'বাংলার আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে পুলিশ', এবার বাম ছাত্র-যুবদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের

পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে ফের একবার নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাফ নামানো হয়। মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনীও। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিকাশ ভবন চত্ত্বর। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা। 
 

Web Desk - ANB | Published : Oct 21, 2022 9:49 AM IST / Updated: Oct 21 2022, 03:39 PM IST

বৃহস্পতিবার রাতের পর ফের একবার প্রতিবাদে গর্জে উঠল করুণাময়ী। এবার চাকরি প্রার্থীদের রাতের অন্ধকারে বলপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল বামেরা। শুক্রবার বামেদের ছাত্র-যুবদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি বাঁধে পুলিশের। ঘটনার জেরে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে করুণাময়ী। 

শুক্রবার সকালে আবারও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের সমর্থনে এগিয়ে আসে বাম ছাত্র-যুবরাও। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বলপূর্বক আন্দোলনরত চাকরীপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে জোড় করে তোলার প্রতিবাদে সল্টলেক সিটি সেন্টার থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতা-কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান। কিন্তু মাঝপথেই পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয় মিছিল। বিধাননগরের কাছে রাস্তার মাঝেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় মীনাক্ষীদের। একের পর এক আন্দোলনকারীকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। 

পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে ফের একবার নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাফ নামানো হয়। মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনীও। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিকাশ ভবন চত্ত্বর। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা। 

শুক্রবার প্রকাশ্যে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বাংলার আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে পুলিশ।" পাশাপাশি তাঁদেরকে অন্যায়ভাবে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। মীনাক্ষী বলেন, "আমরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করিনি। আমরা যেখানে বিক্ষোভ করেছি, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েনি। আমাদের কর্মীদের বলপ্রয়োগ করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা ভুল করছে।" আন্দোলন তুলতে পুলিশি তৎপরতার মাঝেও অনড় মীনাক্ষী প্রতীকরা। 

প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে গত সোমবার থেকে করুণাময়ীতে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। মঙ্গলবাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আচমকাই বলপূর্বক বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয় পুলিশ। কার্যত জোড় করেই টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় চাকরীপ্রার্থীদের। ১৫ মিনিটের মধ্যে তুলে দেওয়া হয় ৮৪ ঘন্টার আন্দোলন। ঘটনা ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বৃহস্পতিবার রাতের করুণাময়ী। তবে পুলিশি ধরপাকড়ের সামনে মাথা নোয়ায়েনি আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সকালে ফের করুণাময়ীতে নতুন করে জমায়েত করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ। 

আরও পড়ুন-
২০১৪ বনাম ২০১৭, টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে পালটা আন্দোলনে নামলেন টেট চাকরিপ্রার্থীরাই
ভারতের সীমানায় ‘বিচিত্র’ পরিস্থিতি, মোকাবিলা করতেই ‘অগ্নিপথ’ স্কিম চালু করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার?

‘রানিকে খান খান করে ছাড়ব’, শাসকদলকে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের, প্রয়োজনে অস্ত্র তুলে নেওয়ার বার্তাও

 

Share this article
click me!