সংক্ষিপ্ত

“অগ্নিপথ প্রকল্পের লক্ষ্য হল বাহিনীর গড় বয়স হ্রাস করা”, বিরোধীদের পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির উচ্চ আদালতকে জবাব দিল কেন্দ্র। সরকারের দাবি, শারীরিক এবং মানসিকভাবে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সক্ষম তরুণ যুদ্ধ বাহিনী তৈরি হবে এই স্কিমের মাধ্যমে। 

২০২২-এ ভারত সরকারের দ্বারা চালু হয়েছে ‘অগ্নিপথ’ স্কিম। এই প্রণালী আসলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিন্তু, এই স্কিমের ঘোষণা হতেই দেশ জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক ডামাডোল। এর বিরোধিতায় তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন কেন্দ্র সরকারি চাকরি প্রার্থীরা। স্কিমটির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয় দিল্লি হাই কোর্টেও। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই দিল্লির উচ্চ আদালতে ‘অগ্নিপথ স্কিম ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও দুর্ভেদ্য করে তুলবে’ ব’লে দাবি করল কেন্দ্র সরকার। 

অগ্নিপথ’ স্কিমের বিরোধিতা করে দিল্লির উচ্চ আদালতে জমা পড়েছে অনেকগুলি পিটিশন। এর প্রেক্ষিতে ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে একটি হলফনামা পেশ করা হয়। হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র হাই কোর্টকে জানায়, ‘ভারত ভূখণ্ডের সীমানায় বর্তমানে একটি বিচিত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহিরাগত এবং অভ্যন্তরীণ হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য চটপটে, তরুণ এবং প্রযুক্তিগতভাবে পারদর্শী সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজন। অগ্নিপথ প্রকল্পের লক্ষ্য হল বাহিনীর গড় বয়স হ্রাস করা।’

অগ্নিপথের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আরও দাবি, ‘এই পদ্ধতিটি মেধা ভিত্তিক, স্বচ্ছ। এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি বেশ শক্তিশালী। যাঁরা রেগুলার ক্যাডার হতে ইচ্ছুক, সেই কর্মীদেরও ন্যায্য সুযোগ প্রদান করা হবে এই প্রক্রিয়ায়। এতে জাতীয়তাবাদী, সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ জনশক্তি প্রদান করা যাবে সমাজকে।’ কেন্দ্রের হলফনামাটিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘স্কিমটি চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্তটি নিয়েছিল ভারত সরকার। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী, দুর্ভেদ্য করতে পরিবর্তিত সময় ও প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’

এ প্রসঙ্গে মোদী সরকারের দাবি, নতুন সামরিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাহিনীর সামগ্রিক গঠনতন্ত্র এবং কাঠামো বদল প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র আরও দাবি করে যে, বাজেটের খরচ কমাতে অগ্নিপথ স্কিম চালু করা হয়নি। এই অর্থ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত করার লক্ষ্যে খরচ করা হবে। বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সদা প্রস্তুত রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে দাবি করা হয় হলফনামায়। সরকারের কথায়, শারীরিক এবং মানসিকভাবে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সক্ষম তরুণ যুদ্ধ বাহিনী তৈরি হবে অগ্নিপথ স্কিমের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন-
ধর্ষকরা ভালো আচরণ করলেই জেল থেকে মুক্তি? সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানোর ধর্ষণকাণ্ডে সাফাই দিল গুজরাত সরকার
‘খাদ্যসাথী’ অ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই রেশন কার্ড তৈরি করার সুবিধা চালু করল রাজ্য সরকার, জেনে নিন সেই পদ্ধতি
যৌন শোষণ করেই কি ইউক্রেনকে দুর্বল করে দিতে চাইছে রাশিয়া? হাতিয়ার নয়, প্রকাশ হয়ে পড়ল ‘ভায়াগ্রা’ তথ্য