সোমবার সকাল থেকেই ঝড় উঠল রাজ্য রাজনীতিতে। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার তৃণমূলের তাবড় তিন মুখ, গ্রেফতার বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা শোভন চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের মত নেতাকে। এদিকে, এই গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে।
নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে ফিরহাদ হাকিম সহ ৪ জনকে গ্রেফতারের পরই তৎপরতা বেড়েছে সিবিআইয়ের সল্টলেকের অফিসে। আটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সের দুটি প্রধান গেট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স। সারা বছরই সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকে। এদিন গ্রেফতারির পর আরও সংখ্যা বাড়ানো হয় জওয়ানদের।
সকালেই অতিরিক্ত জওয়ান নিয়ে আসা হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। ঘিরে ফেলা হয় গোটা অফিস চত্বর। এদিকে, চার নেতার গ্রেফতারিতে সিজিও কমপ্লেক্সে হামলা চালাতে পারে তৃণমূল, এমন আশঙ্কাতেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নারদের স্টিং অপারেশনের মুখে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিও দেখেছিল সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশ। এবং যার বড়সড় প্রভাব পড়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে।
সিবিআই সূত্রে খবর, যে সময়ে এই মামলা শুরু হয়েছিল , তখন সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু। তাই তাঁর ক্ষেত্রে অনুমদন দেবেন লোকসভার অধ্যক্ষ। উল্লেখ্য, নারদামামলায় অভিযুক্ত তৎকালীন ৪ বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই চার নেতা হলেন ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদের মধ্যে প্রথম তিন জন আবার নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। প্রথম তিনজনই তৃণমূলের। কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রার্থী না করায় বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন শোভন।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই বিধায়কদের জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি কি চাওয়া হয়েছেল। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'কোনও চিঠিই পাইনি।' এরপর সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানায়, রাজ্যপালের থেকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি পাওয়ার ফলে দুর্নীতি দমন আইনের সাত নম্বর ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।'