'বিধায়ক পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দলের,আমার ব্যক্তিগত মতামত এর কোন মূল্য নেই', শুক্রবার সল্টলেকের বাসভবনে বললেন মুকুল রায়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজের ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে মুকুল রায় গেরুয়া শিবির ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিতেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। যদিও ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, ' হাতির পিঠ থেকে দু-তিনটে পিঁপড়ে নামলে যায় আসে না', মুকুল ইস্যুতে বিস্ফোরক সায়ন্তন
শুক্রবার বিকেলে সল্টলেকের মুকুল রায়ের বাসভবনে সাক্ষাৎকার করতে আসেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। এরপর সাংবাদিক সম্মুখে শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ ছাড়ার আবেদন পত্র প্রসঙ্গে মুকুল রায় বললেন, আইন মাফিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেব। কেউ আবেদন করতেই পারে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার যার আছে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। বিধায়ক পদ ছাড়ার এরকম কিছু বলা যায় না। বিধায়ক পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দলের। এ বিষয়ে দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। নন্দীগ্রামের মামলা প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, দল সিদ্ধান্ত নেবে বিচারক সিদ্ধান্ত নেবে। আমার ব্যক্তিগত মতামত এর কোন মূল্য নেই। মামলার সিদ্ধান্ত বিচারকরাই নেবেন।'
আরও পড়ুন, কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের, 'ইচ্ছাই নেই কাজের', জমা জল নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
যদিও ইতিমধ্যেই মুকুল রায় বিজেপি শিবির ছাড়তেই বিধায়ক পদের ইস্যু নিয়ে নানা কথা উঠেছে। তৃণমূলে গত দশ বছর থেকে তেমন কোনও সুযোগ-সুবিধা পাননি বলে গেরুয়া শিবিরে এসেই পদ পেয়েছিলেন বলে মুকুল রায়ের খোঁচাও জুটেছে। তবে এদিন সেসব খোঁচাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন তোপ দেগেছেন সায়ন্তন বসুও। তিনি এদিন মুকুলের নাম না করে বলেছেন, ' হাতির পিঠ থেকে দু-তিনটে পিঁপড়ে নেমে গেলে কোনও যায় আসে না'।