একাধিকবার ইডির তলব সত্ত্বেও হাজিরা দেননি মানিক। তাঁর তরফ থেকে প্রতিক্রিয়াও দেওয়া হয়নি বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের আইনজীবীদের দ্বারস্থ হয় ইডির আধিকারিকরা।
খোঁজ মিলছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। একাধিকবার ইডির তলব সত্ত্বেও হাজিরা দেননি মানিক। তাঁর তরফ থেকে প্রতিক্রিয়াও দেওয়া হয়নি বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের আইনজীবীদের দ্বারস্থ হয় ইডির আধিকারিকরা।
টেট দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় আর্থিক নিয়ামক সংস্থা ইডির নজরে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকবার বিধায়ককে তলব করে ইডি। তবে প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে ইডির তলবে সারা দেননি মানিক। গত ১০ অগাস্ট ফের মানিককে তলব করে ইডি। কিন্তু এদিনও মানিকের তরফ থেকে কোনও ইতিবাচক সারা না পেয়ে এবার বিধায়কের খোঁজ করতে শুরু করে ইডির আধিকারিকরা। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়েও কোনও ফল না হওয়ায় এবার আইনি পরামর্শ চেয়ে হাই কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবীদের দ্বারস্থ ইডির আধিকারিকরা। এই পরিস্থিতি তাদের ঠিক কী করণীয় তা জানতে চান ইডির আধিকারিকরা। মানিকের বিরুদ্ধে লিক আউট নোটিশ জারি করা যেতে পারে কি না সে বিষয় জানতে চান তারা।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই মানিকের বাড়িতে প্রায় ১৭ ঘন্টার তল্লাশি চালায় ইডি। বিধায়কের বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয় বলে জানা যাচ্ছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের মধ্যেই মানিককে তলব করে ইডি। কিন্তু তারপর থেকে যতবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কোনওবারই কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।
প্রসঙ্গত,প্রাথমিকের স্কুলশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে আগেই মানিককে পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারনের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।
আরও পড়ুন - 'কেউ ছাড় পাবে না' হাত জোর করে বললেন পার্থ, কালো টাকা দিয়ে স্কুল, আদালতে দাবি ইডির