ভবানীপুর জোড়েখুনে ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী শাখা। এখন কথা হচ্ছে, ঠিক সাড়ে চারশো মিটারের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়ি। আর সাড়ে তিনশো মিটারের মধ্যেই থাকেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। ফলত গোটা এলাকা সিসিটিভিতে মোড়া। হাই সিকিউরিটি জোন।এমন কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে জোড়েখুনে চিন্তা বাড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসন তথা শহরবাসীর। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়বে কি আততায়ীর ছবি ? ভবানীপুরের দম্পতি খুনে পুলিশকে ভাবাচ্ছে একাধিক তথ্য।
ভবানীপুর জোড়েখুনে ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী শাখা। এখন কথা হচ্ছে, ঠিক সাড়ে চারশো মিটারের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়ি। আর সাড়ে তিনশো মিটারের মধ্যেই থাকেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। ফলত গোটা এলাকা সিসিটিভিতে মোড়া। হাই সিকিউরিটি জোন।এমন কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে জোড়েখুনে চিন্তা বাড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসন তথা শহরবাসীর। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়বে কি আততায়ীর ছবি ? ভবানীপুরের দম্পতি খুনে পুলিশকে ভাবাচ্ছে একাধিক তথ্য।
খুনের আগে আততায়ীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে ওই দম্পত্তির ?
ইতিমধ্য়েই ভবানীপুর জোড়েখুনে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী শাখা। এর সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে ভবানীপুর থানার পুলিশও। সূত্রের বর, ওই গুজরাটি ফ্যামিলির বাড়ির একটি দরজা বন্ধ থাকলেও অপরটি ছিল খোলা। এমনকি ঘরের মধ্য়ে টিভি চলছিল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল খাবার। একনজরে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এই ঘরেই খুন হয়েছেন ওই গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ এবং স্ত্রী রেশমি। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ভাল করে খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে, খুনের আগে আততায়ীর সঙ্গে রীতিমত ধস্তাধস্তি হয়েছে ওই দম্পত্তির।
আরও পড়ুন, 'দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুন', হাসিমারা বনবাংলোয় বসেই ভবানীরপুর খুনে সিপিকে ফোন মমতার
রশ্মিতা শাহের শরীরে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন, লুঠ হতে বাধা দেওয়াতেই কি এই খুন ?
গুজরাটি দম্পত্তি খুনে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বছর ৫৬-র অশোক শাহ-র দেহ যখন উদ্ধার করা হয়, সেই সময় তিনি ছিলেন খালি গায়ে। পরনে ছিল শুধু একটি হাফ প্যান্ট। শরীরে একটি বড় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যা থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান। পাশাপাশি বছর ৫২-র স্ত্রী রশ্মিতা শাহের শরীরে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফ্ল্যাটের মধ্যে আলমারির দরজা খোলা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এমনকি রশ্মিতা শাহের হাতের বালা এবং আংটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে লুঠ হতে বাধা দেওয়াতেই এই খুন , বলে অনুমান। যদিও পরিচিত কোনও ব্যাক্তি এই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না গোয়ান্দারা।
আরও পড়ুন, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্ত বহাল থাকবে, রাজ্যের আবেদন খারিজ করল আদালত
সদর দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকতেই রশ্মিতা শাহের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মেয়ে
ছোট মেয়ে কাজের সূত্রে আগেই বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একা ছিলেন বয়স্ক দম্পতি। মেয়ে বারবার ফোন করেও দুপুর থেকে মা-বাবর সঙ্গে ফোন করে পাননি। সন্দেহ হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যে ৬ নাগাদ ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জী রোডের ওই ফ্ল্যাটে চলে আসেন। সদর দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকতেই রশ্মিতা শাহের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মেয়ে। এরপরে বেডরুমে পড়ে থাকতে দেখেন বাবা অশোক শাহ-র রক্তাক্ত দেহ।
আরও পড়ুন, সঙ্গীতশিল্পী কেকে মৃত্যু তদন্তে কি সিবিআই, কলকাতা হাইকোর্টে গৃহীত হল মামলা