কলকাতায় চলবে রোপওয়ে, যানজট এড়াতে নয়া পরিকল্পনা রাজ্যের

  •  কলকাতায় চালু হচ্ছে রোপওয়ে ও মনোরেল
  • যানজট এড়াতে নয়া পরিকল্পনা রাজ্যের
  • বুধবার একথা জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম
  • যেখানে মেট্রো পৌঁছবে না সেখানে চলবে রোপওয়ে

Maitreyi Mukherjee | Published : Jun 17, 2021 7:16 AM IST

অফিস বা স্কুলে পৌঁছানোর জন্য এখন বাস বা ক্যাবের উপর ভরসা করেন অনেকেই। আর যানজটে আটকে অনেক সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। এবার তাঁদের জন্য এখন সুখবর। কলকাতায় চালু হচ্ছে রোপওয়ে ও মনোরেল। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।  

এখন কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতেই পৌঁছে গিয়েছে মেট্রো। কিন্তু, এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে মেট্রো ঢোকা প্রায় অসম্ভব। আর সেই সব এলাকায় রোপওয়ে ও মনোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। অফিসের মতো ব্যস্ত সময় যানজটে নাভিশ্বাস ওঠে কলকাতাবাসীর। এর ফলে তাঁরা অনেকটা উপকৃত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "পরিবহনকে কীভাবে ঢেলে সাজানো যায়, সেটা দেখা হচ্ছে। যেখানে মেট্রো পৌঁছবে না, সেখানে রোপওয়ে, মনোরেলের মতো লাইট ট্রান্সপোর্টের কথা ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাঙ্ককে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়াও গঙ্গার পাড়গুলিকেও ঢেলে সাজানো এবং গঙ্গাবক্ষে পরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।"

আরও পড়ুন- ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই দ্বাদশ শ্রেণির ফল ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল CBSE

২০১১ সালে প্রথমবার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই সময় গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করেছিল তারা। তখনই দূষণ ও যানজটমুক্ত কলকাতা গড়ে তুলতে চান বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর রোপওয়ে ও মনোরেল সেই ভাবনারই অংশ। এছাড়া রাস্তায় যানজট কমাতে জলপথে যাতায়াতের উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- ভাঙন বাড়ছে রাজ্য বিজেপিতে, গেরুয়া শিবির থেকে ৩০০ কর্মীর যোগদান তৃণমূলে

তবে ২০১৫ সালেই কলকাতায় রোপওয়ে চালুর চিন্তাভাবনা করেছিল সরকার। ২০১৫-র মার্চে রাজ্য সরকারের একটি বৈঠকে এই প্রকল্পকে প্রথম ছাড় দিয়েছিলেন ফিরহাদ। ঠিক হয়েছিল দুটি রুটের উপর দিয়ে চালানো হবে রোপওয়ে। শিয়ালদহ থেকে ফেয়ারলি প্লেস এবং হাওড়া থেকে নবান্ন পর্যন্ত রোপওয়ে চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর জন্য প্রতি কিলোমিটার পথ তৈরি করতে ২০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রাথমিকভাবে একটা হিসাব করা হয়। কিন্তু, প্রাথমিক অনুমোদন হলেও ছাড়পত্রের অভাবে দরপত্র চাওয়া হয়নি। তবে যদি রোপওয়ে ও মনোরেল চালু হয় তাহলে কলকাতায় দূষণের পরিমাণ অনেকটাই কমবে। এছাড়া এর মাধ্যমে গণপরিবহনের মানচিত্রে একটা আলাদা জায়গায় পৌঁছে যাবে কলকাতা। আর নির্দিষ্ট সময় অফিসেও পৌঁছাতে পারবেন কলকাতাবাসী। 

Share this article
click me!