
দলীয় বাগবিতণ্ডার মাঝেও সৌজন্যের খামতি ছিল না। সোমবার রাজনৈতিক সৌজন্যের সাক্ষী থাকল রাজ্য বিধানসভা। গত কয়েকদিনে একদিকে তৃণমূল বনাম বিজেপির বিতণ্ডা চরম সীমায় পৌঁছয়। অন্যদিকে একেবারে বিপরীত ছবি দেখা গেল রাজ্য বিধানসভায়। বিরোধী দলের বিধায়কদের এগিয়ে এসে নমস্কার করলেন মুখ্যমন্ত্রী। উলটো দিক থেকেও এল একই প্রতিক্রিয়া। হাত জোর করে মুখ্যমন্ত্রীকে নমস্কার করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার তৃণমূলের আনা নিন্দাপ্রস্তাবের ভোটাভুটির শুরুতেই সভাকক্ষে চলল দুই দলের মধ্যে নমস্কার প্রতি নমস্কার বিনিময়। উল্লেখ্য তার কিছু আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলের বাগবিতণ্ডা শালীনতার সীমা ছাড়িয়েছিল। সিবিআই-এর বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব আনে তৃণমূল। এই প্রস্তাব ঘিরেই জোর শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট বক্তব্য, এই সব প্রস্তাবের প্রভাব তদন্তে পড়বে না। অন্যদিকে শুভেন্দুর বক্তব্যকে পালটা চ্যালেঞ্জ করে নারদা-কাণ্ডে নাম জড়ানো সত্ত্বেও কেন শুভেন্দুর বাড়িতে তল্লাশি চালাল না সিবিআই? এই প্রশ্ন নিয়ে বিধানসভায় সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর চরমে পৌঁছয় মমতা-শুভেন্দু তর্জা। শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট বক্তব্য এই প্রস্তাবে তদন্তে কোনও প্রভাব পড়বে না। 'চোর ধরো জেল ভরো' চলবে! শুভেন্দুর বক্তব্যের পালটা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিরপেক্ষতা আনতে এই প্রস্তাব বলে জানান মমতা।