প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে পৃথিবীর পঞ্চম শৃঙ্গ মাউন্ট মাকালুতে আরোহণ করে নজির গড়লেন প্রিয়ঙ্কা মঙ্গেশ মোহিত। ১৫ মে সকাল নটায় মাকালুর শৃঙ্গে পা রাখেন প্রিয়ঙ্কা।
তবে এই খুশির খবরেও হাসি নেই বাংলার পর্বতপ্রেমীদের মুখে। কারণ কাঞ্চনজঙ্ঘা কেড়ে নিয়েছে দুই অভিযাত্রীর প্রাণ আর সাহাবুদ্দিন কোথায় তা বহুক্ষণ জানতেই পারেননি পর্বতারোহীরা। গতকালই জানা গিয়েছিল কাঞ্চনের কোলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন হাওড়ার পর্বতারোহী কুন্তল কাঁড়ার ও সোনারপুরের পর্বতারোহী বিপ্লব বৈদ্য। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শেখ সাহাবুদ্দিনের। শেষ পাওয়া খবরে সাহাবুদ্দিন ৪ নং ক্যাম্পে পৌঁছেছেন।
গত মঙ্গলবার ভোর চারটেয় রওনা দিয়ে ৩ নং ক্যাম্প থেকে রওনা দিয়ে সাহাবুদ্দিনদের পাঁচজনের দলটি দুপুর একটা নাগাদ পৌঁছয় ৪ নং ক্যম্পে। ঘন্টা তিনেক বিশ্রাম নিয়ে তাঁরা সামিটে বেরিয়ে যান। কথা ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গ ছুঁয়ে তাঁরা ফিরে আসবেন ৪ নং ক্যাম্পে, প্রায় চব্বিশ ঘণ্টার যাত্রা। ৮২০০ ফুট উচ্চতায় বিরাট বিপদে পড়ে দলটি। কোনও ভাবেই বাঁচানো যায়নি কুন্তল কাঁড়ার ও বিপ্লব বৈদ্যকে। রমেশ রায় স্লো ব্লাইন্ডনেসে আক্রান্ত। স্নো বাইটের শিকার হন রুদ্রপ্রসাদ হালদার। সঙ্গে ছিল পালমোনারি এডেমা। সাহাবুদ্দিনের কোনও খোঁজই পাওয়া যায়নি বহুক্ষণ।
তবে কি সাহাবুদ্দিনকেও কেড়ে নিল কাঞ্চন, কু ডাকছিল বাংলার পর্বতপ্রেমীদের মনে। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন আত্মীয় বন্ধুরা। কলকাতা থেকে নেপালের দিকে রওনা দিয়েছেন এই অভিযাত্রীদের বন্ধুদের একটি দল।