ছন্দার পথেই কুন্তল-বিপ্লব, কাঞ্চনজঙ্ঘা কেড়ে নিল দুই বাঙালির প্রাণ

ছন্দা নিখোঁজ হয়েছিলেন আর কা়ঞ্চনের কোলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন হাওড়ার ছেলে  কুন্তল কাঁড়ার ও সোনারপুরের ছেলে বিপ্লব বৈদ্য।

arka deb | Published : May 16, 2019 6:22 AM IST / Updated: May 16 2019, 01:30 PM IST

সব শৃঙ্গ বারবার, কাঞ্চনজঙ্ঘা একবার। একবার অন্তত তার মুখোমুখি হতেই হবে। এই ছিল পাঁচ বাঙালি যুবকের স্বপ্ন। তার পরের গল্পটা ছন্দা গাইনের গল্পেরই প্রতিলিপ যেন। ছন্দা নিখোঁজ হয়েছিলেন আর কা়ঞ্চনের কোলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন হাওড়ার পর্বতারোহী কুন্তল কাঁড়ার ও সোনারপুরের পর্বতারোহী বিপ্লব বৈদ্য।

গত ১০ মে কাঞ্চনজঙ্ঘার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাংলার অন্যতম দক্ষ পাঁচ পর্বতারোহী। সোনারপুরের বিপ্লব বৈদ্য,হাওড়ার কুন্তল কাঁড়ার ছাড়াও দলে ছিলেন রুদ্রপ্রসাদ হালদার, রমেশ রায় ও শেখ সাহাবুদ্দিন। বলা বাহুল্য এঁরা প্রত্যেকেই এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহী।  খারাপ আবহওয়ার জন্যে দু' নম্বর ক্যাম্পে দু'দিন অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের।

মঙ্গলবার ভোর চারটেয় রওনা দিয়ে ৩ নং ক্যাম্প থেকে রওনা দিয়ে এই দলটি দুপুর একটা নাগাদ পৌঁছয় ৪ নং ক্যম্পে। ঘন্টা তিনেক বিশ্রাম নিয়ে তাঁরা সামিটে বেরিয়ে যান। কথা ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গ ছুঁয়ে তাঁরা ফিরে আসবেন ৪ নং ক্যাম্পে, প্রায় চব্বিশ ঘণ্টার যাত্রা।

বুধবার সকাল থেকেই কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না দলটির। দুপুর তিনটে  নাগাদ শেরপা উনেশ জিরপে জানান স্যাটেলাইট ফোনে জানান,  ঘটনার গতিবিধি ভাল নয়, মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিপ্লব বৈদ্য ও কুন্তল কাঁড়ার। আসরে নামেন গ্লোবাল রেসকিউ নামক মার্কিন উদ্ধারকারী সংস্থা ও নির্মল পূজারা। নির্মল পূজারা ফিরছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা সামিট সেরেই। গোটা দলটিই চেষ্টা করে ৮২০০ ফুট উচ্চতা থেকে পাঁচ জনকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি সাহাবুদ্দিনের। অবশেষে রাত্রি দু'টো নাগাদ হাল ছেড়ে দেন সকলে, মারা যান কুন্তল কারার ও বিপ্লব বৈদ্য। 

ভয়াবহ অসুস্থ দলের বাকিরাও। রমেশ রায়  স্লো ব্লাইন্ডনেসে আক্রান্ত।  স্নো বাইটের শিকার দলের অন্য সদসস্যরাও। এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি সাহাবুদ্দিনের। বাকিদের এদিন সকালে তৃতীয় ক্যাম্পে আনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই শোকের আবহ হাওড়া, সোনারপুরে। 

Share this article
click me!