ভাইপোর হাতে খুন কাকা, বিমানবন্দর থানা এলাকায় গ্রেফতার পরিবারের ৩ সদস্য

বিমানবন্দর থানার অন্তর্গত কালীপার্ক এলাকায় পারিবারিক অশান্তির জেরে ভাইপোর হাতে খুন কাকা।  মর্মান্তিক এই ঘটনায় ভাইপো সহ পরিবারের তিন সদস্যকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 26, 2022 11:52 AM IST / Updated: Jan 26 2022, 05:23 PM IST

বিমানবন্দর থানার অন্তর্গত কালীপার্ক এলাকায় পারিবারিক অশান্তির জেরে ভাইপোর হাতে খুন (Murder Case) কাকা। কাকিমার উপর আক্রমণ চালোনোর সময় বাধা পেতেই নিজের কাকাকে রড দিয়ে বেধড়ক মারধোর করে অভিযুক্ত। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় কাকাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মর্মান্তিক এই ঘটনায় ভাইপো সহ পরিবারের তিন সদস্যকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে (Court)  তোলা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে কালীপার্ক এলাকার বিদ্যাসাগর পল্লীর বাসিন্দা মণ্ডল পরিবারের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি দেখা যায়। তবে পারিবারিক অশান্ত যে পরিবারেরই কারও প্রাণ কেড়ে নেবে এমনটাও হয়তো দূরদূরান্ত অবধিও কল্পনা করেনি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বাসিন্দারা।  অভিযোগ, মৃত গোপাল মণ্ডলের স্ত্রী শ্যামলী মণ্ডল দুপুরে বাজার করে বাড়ি ফিরছিল সে সময় অভিযুক্ত ঋত্বিক মণ্ডলের পরিবারের সদস্য গেটের সামনে দাঁড়িয়ে শ্যামলী মণ্ডলকে বাধা দেয়। সেই সময় মণ্ডল পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এরপরে অভিযুক্ত ঋত্বিক মণ্ডল সম্পর্কে তার কাকিমা শ্যামলী মণ্ডলকে মারধর করে। তারপরে ঋত্বিকের কাকা গোপাল মণ্ডল এসে এর প্রতিবাদ করলে ঋত্বিক মণ্ডল তাঁর পরিবারের সকলে মিলিয়ে গোপাল মণ্ডলকে ব্যাপক মারধর করে। এমনকি রড দিয়েও মারা হয়। এরফলে গোপাল মণ্ডলের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

আরও পড়ুন, স্মার্ট ফোন কিনতেই সন্দেহ, ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টায় গ্রেফতার স্বামী-সহ ২

প্রথমে গোপাল মণ্ডলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে রাতে হলদিরামের নিকট একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ গোপাল মণ্ডলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ঋত্বিক মণ্ডল, কৃষ্ণ মণ্ডল ও ধীরেন মণ্ডল নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের এদিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। তবে কী কারণে তাঁরা এতবড় ভয়াবহ ঘটনা ঘটাল, তা জানতে চাইবে পুলিশ। প্রসঙ্গত, একুশ সাল পেরিয়ে বাইশে দাড়িয়েও হিংসা থামেনি রাজ্য়ে। শুধু রাজনৈতিক কিংবা ভোট পরবর্তী হিংসা নয়, এখনও দিন দিন বেড়েই চলেছে পারিবারিক হিংসাও। কখনও পরকীয়া, আবার কখনও অশান্তি বেশিরভাগ খুনের কারণ হয়ে উঠছে। অভিযুক্তরা ধরা পড়লেও থামেনি এই মৃত্যু মিছিল। বাংলার একাধিক জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি সংবাদ মাধ্যমে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগণার পাশাপাশি মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগণার হত্যাকাণ্ড। যেখানে বাইরের লোক নয়, ঘরের মানুষই খুনী হয়ে উঠেছে। আর বিমানবন্দর এলাকার এই হত্যাকাণ্ডে ফের নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশ্ন উঠেছে।

Share this article
click me!