প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে প্রচারে বেরিয়ে স্লোগান যুদ্ধে তৃণমূল-বামফ্রন্ট। এদিন সকালে সল্টলেকের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিআইএম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে আসেন বামফ্রন্ট নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, একই জায়গায় প্রচারে বের হন তৃণমূল প্রার্থী রত্না চক্রবর্তী।
প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2022) সকালে প্রচারে বেরিয়ে স্লোগান যুদ্ধে তৃণমূল-বামফ্রন্ট (TMC-Leftfront)। এদিন সকালে সল্টলেকের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিআইএম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে আসেন বামফ্রন্ট নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। তবে সেখানে এসে প্রচারে স্লোগান বিপাকে পড়তে হয় বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্যকে। একই জায়গায় প্রচারে বের হন তৃণমূল প্রার্থী রত্না চক্রবর্তী। আর সেখানেই দুজনের মিছিল থেকেই স্লোগান চলতে থাকে। এই বিষয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য তৃণমূলকে বিঁধতে সময় নেন না। তিনি জানান, তৃণমূলের গণতন্ত্রের উপর ভরসা নেই তাই তাঁরা অন্যের প্রচার চলাকালীন বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। তবে এই বিষয় এড়িয়ে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী রত্না চক্রবর্তী জানান, 'আজকে সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চান না।'
'নেতাজি রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুপ্রবেশের বিরোধী ছিলেন'-বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য
নেতাজি ট্যাবলো প্রসঙ্গে এদিন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য বলেন, নেতাজি কে স্বীকার করা মানে কী ট্যাবলো করা নাকি মূর্তি করা নাকি কাজের মধ্যে দিয়ে তাকে সন্মান করা বলে এদিন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। নেতাজি রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুপ্রবেশের বিরোধী ছিলেন। তিনি শ্যামাপ্রসাদকে ঠেঙ্গিয়ে ছিলেন। সেই আদর্শকে মেনে চলা উচিত। ক্যালেন্ডার বানিয়ে ট্যাবলো দিয়ে হবে না। তিনি যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন সেটাকে আদর্শ বানিয়ে চলতে হবে।' প্রসঙ্গত, সদ্য রবিবার নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিন ছিল। সেদিন কেন্দ্রে ও রাজ্যে নেতাজিকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। আর নেতাজি ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন বিজেপিও। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'নেতাজি ভক্তি তৃণমূলের পুরোটাই নাটক। যেখানে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান সকাল আটটায় করেছেন, আর মুখ্যমন্ত্রী বেলা ১২টায়। বিধানসভায় আমাদের দলের সকলে গিয়েছেন নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে কারণ সেখানে তো মিডিয়ার প্রচার নেই তাই সেখানে তৃণমূলের কেউ যাননি।' এহেন পরিস্থিতিতে পুরভোটের আগে বাম-বিজেপির তোপের মুখে তৃণমূল।
'বুদ্ধবাবু সম্মান নেবেন না জানা কথা'-বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য
উল্লেখ্য, ভারতরত্ন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্য়োতি বসু। আর এবার সেই পথেই এগিয়ে পদ্মসম্মান (Padma Awardas 2022) ফিরিয়ে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এরপরেই এই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন বামফ্রন্ট নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সন্ধ্যা রায়ের পদ্মশ্রী খেতাব ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য জানান,'সন্ধা রায়রা ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতদিন পর পদ্মশ্রী সন্মান দেওয়ার কোনও মানে হয় না। যেখানে কঙ্গনা রানাউত পুরস্কার পাচ্ছেন সেই মঞ্চে সন্ধ্যা রায়দের মতন শিল্পীদের সন্মান দেওয়া সংস্কৃতি অঙ্গনের প্রতিষ্ঠিতদের অসন্মান করা। বুদ্ধদা নেবেন না জানা কথা। যে সরকার মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে, তাঁদের সম্মান বুদ্ধবাবু নেবেন না জানা কথা।'