৫০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, রাজ্য়ে বজ্রবিদ্য়ুৎ সহ তুমুল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

  • রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস 
  • বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ।
  • আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাজ্য়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
  • ৪০-৫০ কিমি গতিবেগে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী 
     

Ritam Talukder | Published : Apr 26, 2020 1:23 PM IST

কলকাতা সহ রাজ্য়ে টানা মঙ্গলবার অবধি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। রবিবার সন্ধেয় বজ্রবিদ্য়ুৎ সহ তুমুল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে রাজ্য়ের একাধিক জেলায়।  আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাজ্য় সহ কলকাতায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস। ৪০-৫০ কিমি গতিবেগে ধেয়ে আসছে এই কালবৈশাখী। আগামী ২৪  ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের  বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি।  

আরও পড়ুন, স্ক্রিন ছুঁয়েই প্রিয় জনের অনুভূতি, করোনা রুখতে শহরের হাসপাতালে চালু 'ভারচুয়াল ভিজিটিং আওয়ার্স'


ছত্রিশগড় ও মেঘালয়ে দুটি ঘূর্ণাবর্ত। ছত্রিশগড় থেকে একটি অক্ষরেখা মেঘালয় পর্যন্ত বিস্তৃত। অক্ষরেখা টি গাঙ্গেয়  ওড়িশা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিস্তৃত। এর জেরেই সাগর থেকে ঢুকছে জলীয়বাষ্প। আগামী ৪৮ ঘন্টা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। শহরের বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ। রবিবার এই মুহূর্তে শহর কলকাতার তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আরও পড়ুন, চিন থেকে সোজা কলকাতা বিমানবন্দরে, ১০ টন করোনা-চিকিৎসার সামগ্রী নিয়ে শহরে নামল উড়ান


গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত ঝোড়ো হাওয়া কালবৈশাখীও হতে পারে। ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে এমনকি শিলা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা ওড়িশা, ঝারখন্ড এবং বিহারেও।৩০ এপ্রিল দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে  ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। প্রথমদিকে উত্তর উত্তর পশ্চিম এবং পরে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে মে মাসের ৪ তারিখ সোমবারে দক্ষিণ পূর্ব মায়ানমার উপকূল অথবা বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা।উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার কারণে আগামী ২৪  ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
 

আরও পড়ুন, পেটের জ্বালায় লকডাউন লঙ্ঘন, বজ্রাঘাতে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের কৃষক

Share this article
click me!