পুরভোটের দোরগড়ায় কংগ্রেসের পতাকা খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতায়। এবার কংগ্রেসের পতাকা লাগালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
পুরভোটের (Kolkata Municipal Election 2021) দোরগড়ায় কংগ্রেসের পতাকা (Congress) খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতায়। এবার কংগ্রেসের পতাকা লাগালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গলফগ্রিন থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে পুরো অভিযোগটিই অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির (TMC) ।
ঘটনার মোড় ঘোরে বুধবার রাতে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ২৬ নং ওয়ার্ড। সেখানে তখন কংগ্রেস কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন। আচমকাই ওই পতাকা খুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই শুরু হয় বচসা। এলাকায় কংগ্রেস পতাকা লাগালেই মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌছন কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল নষ্কর। স্থানীয়রাও চলে আসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। এই ঘটনায় লফগ্রিন থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেন রাহুল নষ্কর। প্রসঙ্গত, ওয়ার্ডটি কলকাতা পুলিশের গিরিশ পার্ক এবং বুরতোল্লা থানার অধীনে রয়েছে। ২০০৫ সালে এই ওয়ার্ডটি ছিল বামেদের দখলে। সেসময় অরূপ অধিকারী ছিলেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ২০১০ সালে পট পরিবর্তন হয়। রাজ্যে রঙ বদলের প্রভাব পড়ে এই ওয়ার্ডেও। ২০১০ সালে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হন শশী পাঁজা। ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। তবে বদল হয় কাউন্সিলর। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হন রবীন চট্টোপাদ্যায়। ২০২১ সালে পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থী তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির হয়ে লড়ছেন শশী গোন্দ এবং বামেদের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন তাপস প্রামাণিক।
এদিকে এগিয়ে আসছে পুরভোট। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে পুরভোটের উত্তাপ। এদিকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রচারাভিযানে নেমে পড়ছে শাসক বিরোধী প্রতিটা দলের প্রার্থীরাই। তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু বড় মুখও। এমতাবস্থায় এবার পুরভোটের প্রচারে নামতে চলেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় । তৃণমূল সূত্রে খবর আগামী ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ পুরভোটের প্রচারে শেষ দিনে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই পরপর চারটি সভা রয়েছে তাঁর। ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতার চারটি বিধানসভা এলাকায় সভা করবেন মমতা। বাঘাযতীন যুব সংঘের মাঠে টালিগঞ্জ এবং যাদবপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর বেহালা পূর্ব এবং বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করতে পারেন তিনি। আর তা নিয়েই বর্তমানে সাজসাজ রব শাসক দলের অন্দরে।