' মতুয়াদের সংঘবদ্ধতাকে নষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি',হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকে দলীয় রক্তদান কর্মসূচিতে এসে এভাবেই বিজেপিকে রাজনৈতিক আক্রমণ করলেন কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্র।
'চিনে জোঁক লাগিয়ে মতুয়াদের সংঘবদ্ধতাকে নষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি',হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকে দলীয় রক্তদান কর্মসূচিতে এসে এভাবেই বিজেপিকে রাজনৈতিক আক্রমণ করলেন কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্র (TMC Madan Mitra)। এদিকে রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরত আসা নিয়ে এদিন মদন মিত্র বলেন, 'ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না'।
'শান্তনু নিজের ঘর বেঁধে রাখতে পারছে না'
বুধবার মদন মিত্র দাবি করে বলেন,' মতুয়ারা একসময় যথেষ্ট সংঘবদ্ধ অবস্থায় ছিল। এই রাজ্যে বিজেপি এসে তাদের সর্বনাশ করেছে। চিনে জোঁক লাগিয়ে তাদের সংঘবদ্ধতাকে নষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্র বিজেপি নেতাদের নাম উল্লেখ করে বলেন, 'শান্তনু নিজের ঘর বেঁধে রাখতে পারছে না।'পাশাপাশি সৌমিত্রকেও তোপ দাগতে এদিন তিনি ছাড়েননি। তিনি দাবি করেন, 'মতুয়াদের জন্য সমস্ত উন্নয়ন করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মতুয়াদের জন্য স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল বানিয়ে দিয়েছেন।' এদিকে, সিএএ নিয়ে মতুয়ারা আন্দোলনে নামছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ মতুয়া প্রসঙ্গে বলেন, এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, শুধু মতুয়া নয়। পশ্চিমবাংলায় আমার ধারনা প্রায় তিন কোটি কাছাকাছি পূর্ব বাংলা থেকে আসা মানুষ আছেন যারা সিএএ হলে নাগরিকত্বের সুবিধা পাবেন আর সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী এটা করেছেন। বিজেপি অর্ধেক কাজ করেছে অর্ধেক বাকি আছে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল হলে ওটাও করবে। এবং বিজেপি একাজই করতে পারে। এজন্য মতুয়ারা বিশ্বাস করে এসেছেন বিজেপিতে। ভোট দিয়েছেন। আমি বলব আপনারা ধৈর্য ধরুন। সত্তর বছর পঁচাত্তর বছর লেগে গিয়েছে সিএ করতে এক আধ বছর বড় ঘটনা নয় আমাদের আমলে যারা আশা করে বসেছেন সবাই নাগরিকত্ব পাবেন।'
'ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না'
অপরদিকে এদিন রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরত আসা নিয়ে মদন মিত্র বলেন, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন রাজীব বন্দোপাধ্যায় বিধানসভার সময় দলে থাকলে আরো ৫০ হাজারের বেশি ভোটে দল জিততে পারতো। পাশাপাশি আজকে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের নামে ফ্লেক্স টাঙানোর প্রসঙ্গে বলেন, যারা রাতের অন্ধকারে পোস্টার মারে তারা অশিক্ষিত ও চোর । তাদেরকে নিয়ে কিছু বলার নেই। তিনি দাবি করেন,' কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় একজন যোগ্য সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সত্যি হলে তিনি তিনবার তার কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে পারতেন না। মূলত অভিষেক ইস্যুতে কথা বলার পরেই কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।