দেওয়া- নেওয়া থেকেই কাটমানি কনসেপ্ট, কল্যাণের আক্রমণের জবাবে বললেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি

  • কলকাতা হাইকোর্টের ঘটনা
  • বিচারপতির সঙ্গে বেনজির তরজায় আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে এজলাস ছাড়েন ক্ষুব্ধ বিচারপতি

debamoy ghosh | Published : Jul 17, 2019 7:10 PM IST

কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীনই বিচারপতির সঙ্গে তরজায় জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ এবং আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের দায়ের করা অনাস্থা প্রস্তাবের মামলার শুনানির সময় এই ঘটনা ঘটে। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় কাটমানি প্রসঙ্গ তোলায় তার পাল্টা জবাব  দেন কল্যাণ। পরে অবশ্য বিচারপতির কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। 

বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এ দিন সব্যসাচী দত্তের দায়ের করা মামলার বিচার চলাকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জজনপ্রতিনিধিদের দলবদল নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, একটি দলের প্রার্থীকে দেখে ভোট দেন। কিন্তু পরবর্তী সময় সেই প্রার্থীই দলবদল করেন। এটা ঠিক নয়। বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটে যেভাবে শাসক দলের সমর্থনে পুলিশ কাজ করেছে, তার সমালোচনা করেন বিচারপতি। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান এবং তাঁর অনুগামীরাই মঙ্গলবারের গন্ডগোলের জন্য দায়ী বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। 

এরই প্রতিবাদ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তিনি বিচারপতিকে বলেন. এভাবে  একটি দলের বিরুদ্ধে তিনি বলতে পারেন না। কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বিজেপি কীভাবে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে, সে প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করার দাবি জানান কল্যাণ। বিচারপতিদের নিরেপেক্ষতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কোন কোন বিচারপতি সল্টলেকে জমি পেয়েছেন, তাও তাঁর জানা আছে। বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা নেই বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূলের সাংসদ আইনজীবী। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় আইনের এ-বি-সি-ডি জানেন না বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। কল্যাণের এই মন্তব্যের পরেই এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।

পরে এজলাসে ফিরে সব্যসাচী দত্তের দায়ের করা মামলার শুনানির মধ্যে বিচারপতি পাল্টা বলেন, সততার সঙ্গেই বরাবর কাজ করেছেন তিনি। তাঁর নিয়োগ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না। মাত্র দশ বছর কাজ করেই অনেকে হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিচারপতি  বলেন, 'কার সম্পত্তি কীভাবে বাড়ছে আমরা সব জানি। কেউ দিতে ভালবাসেন, কেউ নিতে। এই দেওয়া- নেওয়া থেকেই কাটমানি কনসেপ্ট।' 

এর পরে মামলার রায় দিয়ে নিজের চেম্বারে ফিরে যান বিচারপতি। পরে সেখানে গিয়েই দুঃখপ্রকাশ করে আসেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। 
 

Share this article
click me!