শপথবাক্য পাঠ করিয়ে মিছিল শুরু মমতার, প্রবল যানজটের আশঙ্কা

 

  • কলকাতায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল
  • নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল তৃণমূলের
  • মিছিলের নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • শপথবাক্য পাঠ করালেন তৃণমূলনেত্রী

debamoy ghosh | Published : Dec 16, 2019 7:54 AM IST / Updated: Dec 16 2019, 06:05 PM IST


নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কলকাতায় তৃণমূলের মহামিছিল শুরু হল রেড রোড থেকে। মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রেড রোড থেকে শুরু হয়ে মিছিল যাবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত।

এ দিন প্রথমে রেড রোডে বি আর অম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তৃণমূলনেত্রী। এর পর উপস্থিত জনতাকে শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। এনআরসি, নাগরিকত্ব আইনের নামে বাংলা থেকে একজনকেও তাড়াতে দেওয়া হবে না বলে শপথ পাঠ করান মুখ্যমন্ত্রী। সতর্ক করে তিনি বলেন, মিছিলে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। এমন কী দলের কেউ কোনওভাবে আইনভঙ্গ করলেও সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে বলে সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মিছিলে উপস্থিত আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সির মতো তৃণমূল নেতারা।

আরও পড়ুন- উস্কানি দেবেন না, মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে আপত্তি জানিয়ে টুইট রাজ্যপালের

আরও পড়ুন- অশান্তি বন্ধে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি, মামলা দায়ের হল ফিরহাদের বিরুদ্ধেও

নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে মঙ্গল এবং বুধবারও পথে নামার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার মিছিল হবে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত। আর বুধবার হাওড়া  ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। মিছিলের জেরে গোটা উত্তর এবং মধ্য কলকাতায় প্রবল যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। 

রেড রোড থেকে বেরিয়ে পার্ক স্ট্রিট মোড়, জওহরলাল নেহেরু রোড, ধর্মতলা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে মিছিল জোড়াসাঁকো পৌঁছনোর কথা। ফলে ওই সবকটি রাস্তা তো বটেই, তার আশপাশের রাস্তাগুলিও কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। 

এই মিছিল নিয়েই আপত্তি জানিয়েই এ দিন টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক দাবি করে টুইটারে তিনি লেখেন, 'দেশের আইনের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রীরা মিছিলে নেতৃত্ব দিতে রাস্তায় নামতে চলায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। বর্তমান পরিস্থিতিতে এংন অসাংবিধানিক এবং উস্কানিমূলক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। বরং কীভাবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়, এই সময় তার জন্য সময় বরাদ্দ করা উচিত।'

Share this article
click me!