আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যেও শুরু হতে পারে প্লাজমা থেরাপি , তৈরি রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ

প্লাজমা থেরাপির বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সমিশন ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ও চিকিৎসক প্রসূন ভট্টাচার্যের সঙ্গে। 
 

Saborni Mitra | Published : May 3, 2020 12:28 PM IST

প্রশ্ন কেন ভরসা করা হচ্ছে প্লাজমা থেরাপির ওপর? 
 প্রসূন ভট্টাচার্য: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এখনও পর্যন্ত প্রচলিত কোনও চিকিৎসা নেই । তাই প্লাজমা থেরাপির ওপর ভরসা রাখা হচ্ছে। যেসব মানুষ  করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন হয়েছিলেন তাঁরা সুস্থ হওয়ার পরই তাঁদের রক্ত নেওয়া হয়। যেসব রোগী খুব সংকট জনক এবং কোনও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না তাঁদের ক্ষেত্রেই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হচ্ছে। 

প্রশ্নঃ প্লাজমা থেরাপি কতটা গ্রহণ যোগ্য? 
প্রসূন ভট্টাচার্য:  করোনাভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তাই বিশ্বের অনেক দেশই প্লাজমা থেরাপির ওপরই ভরসা রাখেছে। আমেরিকা, চিন, ইরানসহ একাধিক দেশেই প্লাজমা থেরাপি করা হয়েছে।কিন্তু  মুম্বইতে প্লাজামা থেরাপি সফল হয়নি। এক আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তাই প্লাজমা থেরাপি কাজের নয় বা এটা অযৌক্তিক তা বলার সময় এখনও আসেনি। 

Latest Videos

 প্রসূন ভট্টাচার্য, বিভাগীয় প্রধান, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ 


প্রশ্নঃ এই রাজ্যে কী প্লাজমা থেরাপি চালু করা সম্ভব? 
প্রসূন ভট্টাচার্য: মেডিক্যাল কলেজে  এই চিকিৎসার সম্পূর্ণ পরিকাঠামো রয়েছে। প্লাজমা তৈরিরও উপযুক্ত পরিকাঠমো রয়েছে। যার ফলে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালও পরিষেবা দিতে পারবে।  রাজ্যসরকার ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়েছে। 

প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গ প্লাজমা থেরাপি নিয়ে পরীক্ষার কোনও পর্যায় রয়েছে? 
প্রসূন ভট্টাচার্য: এই রাজ্যে আইডি হাসপাতাল, স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিন আর মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ট্রান্সমিশন বিভাগকেই মূলত প্লাজমা থেরাপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  সকলের উদ্যোগেই পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে।


প্রশ্ন: কত দিনের মধ্যে সেগুলি পাওয়া যাবে? 
প্রসূন ভট্টাচার্য: আগামী দুএক সপ্তাহের মধ্যেই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

প্রশ্ন :কত দিন পর প্লাজমা গ্রহণ করা যাবে? 
প্রসূন ভট্টাচার্য: করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কোনও ব্যক্তি সেরে যাওয়ার ২৮ দিন পর তাঁর শরীর থেকে প্লাজমা নেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রেও আইসিএমআরএর নির্দিষ্ট গাউড লাইন। যা মেনেই প্লাজমা গ্রহণ করা সম্ভব। 

প্রশ্ন: প্লাজমা দানের ক্ষেত্রে কি গ্রাহক ও দাতা একে অপরের নাম জানতে পারবে? 
প্রসূন ভট্টাচার্য: না গ্রাহক ও দাতা কেউ কারো পরিচয় জানতে পারবে না। তবে গ্রাহক ও দাতা দুজনেরই অনুমোদন প্রয়োজন। একই সঙ্গে গ্রাহকের বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষার পরই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব। 


আরও পড়ুনঃ করোনাযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে 'রাজসূয় যজ্ঞ' তিন বাহিনীর অভিবাদনের ছবিগুলি দেখুন ...

আরও পড়ুনঃ নিরাপত্তা বাহিনীতেও করোনার হানা, পরিচ্ছন্নর করার জন্য বন্ধ করা হল সিআরপিএফ বিল্ডিং ..

Share this article
click me!

Latest Videos

'পুলিশ তৃণমূলের কাউকে টাচ করতেই ভয় পায়' কেন! জানালেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | BJP vs TMC |
৮৭ দিন পার, কবে শেষ হবে তদন্ত! CBI দফতর অভিযানে মহিলারা | RG Kar Protest | RG Kar News Today
'এতদিন আমি মুখ খুলিনি, ফাঁসাচ্ছে, ডিপার্টমেন্ট বলেছে চুপ থাকতে' চিৎকার সঞ্জয়ের | Sanjay Roy RG Kar
Live: আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা বিজেপির, দেখুন সরাসরি
'নৈহাটি জিতেই পরিবর্তন শুরু হবে' ঝাঁঝাল বার্তা শান্তনু ঠাকুরের | Shantanu Thakur BJP | Naihati