কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানকে চিঠি পাঠাল রাজ্য বার কাউন্সিল। উল্লেখ্য, নারদ মামলাই এই চিঠির প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন, ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কাণ্ডের জের, আজ রাজ্যে বন্ধ সমস্ত বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র
১৭ মে নারদকাণ্ডে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এরপর নিম্ন আদালতে চার নেতা-মন্ত্রীর জামিন হয়ে যায়। কিন্তু সিবিআই-র আইনজীবী ভার্চুয়ালি বিষয়টি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান। পরে রাতেই জামিন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ জিন্দাল। আর এরপরেই রাজেশ জিন্দাল তথা নারদ মামলায় পক্ষপাত্বের অভিযোগ তুলেছে বার কাউন্সিল।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে পুরো বিষয়টি উল্লেখ করেছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব। নারদ মামলায় হাইকোর্টের ৫ সদস্যের বিচারপতি বেঞ্চ গঠিত হয়েছিল। সেই ৫ সদস্যের বিচারপতি বেঞ্চে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক হলফনামা দিতে চাইলেও তাঁদের হলফনামা গ্রহণ করা হয়নি। বক্তব্য ছিল, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলে দেখা যায়, সেখানে তাঁদের আবদনের মান্যতা পেয়েছে। উল্লেখ্য করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতার দায়ের করা নন্দীগ্রাম রায় সংক্রান্ত প্রসঙ্গটিও।
ভোট গণনায় কারচুপির সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজেলাসে ওঠে। কিন্তু মামলা অন্য়ত্র সরানোর আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী মনু সিংভি। বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস পরিবর্তনের আবেদন জানানো হলেও হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচার পতি তা অগ্রাহ্য করেন। এই পুরো বিষয়টি উল্লেখ আছে চিঠিতে। এরপরেই হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানকে চিঠি পাঠাল রাজ্য বার কাউন্সিল। অপরদিকে, এই চিঠিকে ঘিরে আসরে নেমেছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইট খোঁচায় বলেছেন, যেহেতু হাইকোর্ট রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার সত্যতা খতিয়ে দেখছে, তাই বজবজের তৃণমূল বিধায়ক আইনজীবীকে দিয়ে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের অপসরণের দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল।