চলে গেলেন 'ছোড়দা', প্রয়াত সোমেন মিত্রের শেষযাত্রার সূচি ঘোষণা করল কংগ্রেস

  • পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ,সোমেন মিত্রের জীবনাবসান  
  • দক্ষিণ কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় 
  • বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতাল থেকে  মরদেহ আনা হবে    
  •   দূরত্ব বজায় রেখেই প্রয়াত নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন 

Ritam Talukder | Published : Jul 30, 2020 3:07 AM IST / Updated: Jul 30 2020, 08:51 AM IST

পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ,সোমেন মিত্রের জীবনাবসান হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অসুস্থতার কারণে ২১ জুলাই থেকে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার প্রয়াণে বাংলার রাজনীতিতে একটা অধ্যায়ে যবনিকা পড়ল।

আরও পড়ুন, বাংলার রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন, চলে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বেলভিউ হাসপাতাল থেকে বিধানভবনে সোমেন মিত্রের মরদেহ আনা হবে। শেষশ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেলা ১২টা পর্যন্ত সেখানেই শায়িত থাকবে প্রবীণ কংগ্রেস নেতার মরদেহ। সাড়ে ১২টা বিধানসভা হয়ে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ৩ নং লোয়ার রডন স্ট্রিটের বাসভবনে। সেখান থেকে আদি বাড়ি ৪৫ নম্বর আমহার্স্ট স্ট্রিট। তার পর নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে অমিতাভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে শায়িত রাখা হবে বর্ষীয়ান নেতার দেহ। নেতা, কর্মী, সমর্থকরা এসে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রয়াত নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

আরও পড়ুন, খাস কলকাতাতেই ২০ হাজার ছাড়াল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগে পুরসভা

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল সোমেনবাবুর। তিনি দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। গত ২১ তারিখ আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। জ্বর-সর্দি থাকায় করোনা পরীক্ষাও করা হয় তাঁর। যদিও সেই রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এরই মাঝে শনিবার জানা যায় যে, সোমেন মিত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁর কিডনি কাজ করছে না। হৃদস্পন্দনের মাত্রাও কমে গিয়েছে। এরপর বুধবার গভীর রাতে বেলভিউ হাসপাতালে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Share this article
click me!