বর্ষা এল, এল না শান্তি, এই কারণে চিন্তিত আবহবিদরা

  • বর্ষা এসেছে কলকাতায়
  • তবু চিন্তায় রয়েছেন আবহবিদরা
  • বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৭০ শতাংশ
  • কী ভাবে মিটবে এই ঘাটতি

arka deb | Published : Jun 22, 2019 5:08 AM IST

বর্ষা এসেছে শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। তবু কপালে ভাঁজ আবহবিদদের। গত দিনই আবহাওয়া অফিস থেকে ঘোষণা করা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতায়। বলা হয় দুই মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া পুরুলিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলেওছে সেই কথা। বর্ষার আগমনে দরদর ঘামের কিছু সুরাহা হয়েছেই। কিন্তু ক্ষত যে অনেক বড়। আর তাতেই চিন্তা যাচ্ছে না আবহবিদদের। 

প্রতিবছর জুন মাসের আট তারিখ আসে বর্ষা। এবছর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা পা রাখল ২১ জুন। আষাঢ় মাসের ষষ্ঠ দিনে। এই দেরির কারণে অনেকগুলি জেলাতে ঘাটতি হয়ে গিয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। সেই ঘাটতি মিটবে কোন উপায়ে?  আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হচ্ছে,  ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজন দুই দফা ভারি বৃষ্টির। কিন্তু বর্ষা এলেও তার তত শক্তি নেই। ফলে এক্ষুণি এই ঘাটতি মিটবেও না। অথচ জমি পর্যাপ্ত জল না পেলে গোটা বছর চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হবে। 

এ বছর মূলত তিনটি কারণে দেরি করে আসে বর্ষা।

১ আবহবিদরা এর জন্যে আরব সাগরে তৈরি হওয়া মৌসুমী বায়ু এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ জলতলকে দায়ী করেছেন।

২এছাড়া সমস্ত জলীয় বাষ্পই শুষে নিয়েছে বর্ষা।

৩ তাপপ্রবাহের তীব্র দাপট ছিল প্রধান অন্তরায়। 
 
প্রসঙ্গত পুরুলিয়া,মালদা,বীরভূমের কয়েকটি জায়গায় এখনও বৃষ্টি শুরু হয়নি। রবিবারের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমবে। ফলে সাময়িক ভাবে একটু স্বস্তি এলেও দীর্ঘ মেয়াদে কতচা সুরাহা হলো বর্ষা আসায়, তা নিয়ে দুবার ভাবতে হবে। আপাতত অপেক্ষা ছাড়া অন্য কোনও পথও দেখছেন না আবহবিদরা।  

Share this article
click me!