আজও কি চলবে বৃষ্টি? নাকি কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে পড়বে শীত?
কুয়াশার (Fog) চাদরে ঢেকে সকাল শুরু করল কলকাতা (Kolkata) সহ গোটা রাজ্য। উত্তরের দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) তো ঘন কুয়াশায় দুই হাত দূরের জিনিসই দেখার জো নেই। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাও ছিল কুয়াশায় ঢাকা। এদিন উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির (Light to Moderate Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য কয়েকটি জেলা ছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন, শহর কলকাতায় বেশ গরম পড়বে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে রাতের তাপমাত্রাও খুব একটা কমার সম্ভাবনা নেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করবে। রাতের তাপমাত্রা বেশি থাকায় যথেষ্ট গরম অনুভূত হবে। এদিন কলকাতায় অবশ্য বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কুচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে বর্জবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিও (Rain With Thunder)। আগামী দুইদিনে রাতের তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপর থেকে ২-৪ ডিগ্রি কমতে পারে। এদিনের পর থেকে মেঘ কেটে যাবে, বৃষ্টিরও আর সম্ভাবনা নেই।
দক্ষিণবঙ্গেরও চার জেলাতে এদিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে - উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়া। তবে হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার আবহাওয়া এদিন শুষ্কই থাকবে। সামনে কয়েক দিনেও এরকমই আবহাওয়া চলার কথা। আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তিত না হলেও, পরের ৩ দিনে অনেকটাই নামতে পারে তাপমাত্রা।
গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের জেরে কলকাতা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আকাশে দেখা দিয়েছিল মেঘের আনাগোনা। আর তাতেই এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায় তাপমাত্রা। সোমবার কলকাতা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই প্রায় সারাদিনই হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। মকর সংক্রান্তির সময়ে যে শীত পড়ার ইঙ্গিত মিলেছিল, তার বিপরীতে গিয়ে, এখন শহর কলকাতা ও রাজ্যের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। আর রাতের তাপমাত্রা বাড়াতেই, শীত সেভাবে পড়ছে না।
কলকাতা তথা বাংলায় শীত এমনিতেই খুব স্বল্পস্থায়ী। মাঘ মাসে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু, এই বছর শীতকালেও বারবারই নিম্নচাপ বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে ধাক্কা খেয়েছে ঠান্ডা। এই অবস্থায় রাজ্যবাসী হাপিত্যেশ করে বসে আছেন, মাঘের শেষ কয়েকটা দিনের ঠান্ডার প্রত্যাশায়।