বৃহস্পতিবার কলকাতায় সকালে সামান্য কুয়াশা পরে পরিষ্কার আকাশ। উল্লেখ্য, ১৩ তারিখ থেকে দিনের ও রাতের আবারও তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। কারণ উত্তর-পশ্চিমের ঠান্ডা হাওয়ার প্রভাব বাড়বে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, দার্জিলিং কালিম্পং এর হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী দুই থেকে তিন দিনে কলকাতার তাপমাত্রা আবারও ১৫ ডিগ্রির নিচে নাবার সম্ভাবনা।
আবারও উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়ার হাত ধরে রাজ্যে ফিরতে চলেছে শীত। যেখানে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কয়েকদিন আগে ছিল ২০.৯, সেখানে আজকের তাপমাত্রা কমে ১৬.৬ ডিগ্রি। প্রায় ৪ ডিগ্রি কমেছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েক দিনের তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমার সম্ভাবনা কলকাতা সহ রাজ্যে। কারণ উত্তর-পশ্চিমে শীতল হাওয়ার দাপট আবারও বেড়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনে কলকাতার তাপমাত্রা আবারও ১৫ ডিগ্রির নিচে নাবার সম্ভাবনা। পরশুদিন কলকাতার তাপমাত্রা কমে ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রির আশেপাশে থাকতে পারে। অপরদিকে, উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। আগামী দু-তিন দিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থানে শৈত্যপ্রবাহ। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি অব্যাহত। ভারী বৃষ্টি তামিলনাড়ু,কেরলে।
আবহাওয়া দফতরের সূত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি নীচে। নুন্যতম তাপমাত্রা ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। কলকাতার নুন্যতম তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৭৮ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৫৬ শতাংশ। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। নুন্যতম তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। কলকাতার নুন্যতম তাপমাত্রা ১৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৮৫ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৫১ শতাংশ। সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি উপরে। নুন্যতম তাপমাত্রা ২০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি উপরে। কলকাতার নুন্যতম তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৯৬ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৪০ শতাংশ।