গানটি আজও কানে বাজে। "এই শহর ছেড়ে আরও অনেক দূরে, চলো মোরা চলে যাই।" কিন্তু সত্যিই কি যাই বলে চলে যাওয়া যায়? পকেট বড় বালাই। তার ওপর ঘাড়েই ঝুলছে অফিসের খাঁড়া। কিন্তু একটা রবিবার, বা হাফ ছুটির বিকেলটা কি শহরেই কোথায় গাছের ছায়ায় প্রিয়জনকে নিয়ে জিরিয়ে নেওয়া যায়না? আপনি নিশ্চয়ই বলবেন, 'না, যায় না, কলকাতায় আর তেমন জায়গা কই?"
উত্তরে বলতেই হয় শহরটাকে এখনও চেনেন না আপনি। হেঁটে দেখতে শিখুন। হলফ করে বলা যায় এমন জায়গা আছে যাকে কবির ভাষায় বলতে হয় 'ছায়া সুনিবিড়', যেখানে সত্যি দু দণ্ড জিরিয়ে নেওয়া যায়। দেখা যাক, এই শহরের একান্ত সামার ডেস্টিনেশনগুলিকে—
নলবন বোটিং কমপ্লেক্স
শিকারা বা বোটিংয়ে আগ্রহ না-থাকলে রেস্তোরাঁ কাম পানশালায় বসুন। সামনে হালকা ঢেউ। দূরে তাল গাছের সারি।
বেণুবণছায়া
পাটুলির এই পার্কটির নামের মধ্যেই রয়েছে ছায়ার আশ্বাস। জল আর গাছালির মাঝখানে ব্যবস্থা রয়েছে বোটিং, শিকারা-বিহার, মাছধরার। এই পার্কের অন্যতম আকর্ষণ ‘ট্রাম রেস্তোরাঁ’। ঠান্ডা মাথায় গসিপ অথবা নিছক নীরবতার জন্য যথাযথ।
বিশ্ব বাংলা হাট
ইকো পার্কের পাশেই এই জায়গা। নানা ভুবনের কারুকলার সঙ্গে ছায়া ফ্রি। সন্ধেটাও মনোরম।
চিন্তামণি কর বার্ড স্যাংচুয়ারি
নরেন্দ্রপুরে রামকৃষ্ণ মিশনের কাছেই এই পাখিরালয়। পাখি ছাড়াও রয়েছে প্রজাপতি, ফার্ন আর অর্কিডের সমারোহ।
ময়দান
কেবল বেছে নিতে হবে কোন গাছের তলাটা বেশি স্বস্তিদায়ক। আর তার পরে সঙ্গী না থকেলে একলাই কাটিয়ে দিন একটা দুটটা দুপুর। কোনও ঝক্কি নেই। ঝঞ্ঝাট নেই। সন্ধে হলে হাঁটুন ময়দান বরাবর। চাইলে ট্রামে উঠুন।