কেন চলে গেল কৃত্তিকা, উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

arka deb |  
Published : Jun 22, 2019, 07:21 PM IST
কেন চলে গেল কৃত্তিকা, উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

সংক্ষিপ্ত

কেন এই অকালমৃত্যু এত পরিকল্পনা করল কী ভাবে কৃত্তিকা তদন্তে উঠে আসা সূত্রগুলি স্তম্ভিত করছে

চলে গিয়েছে জি ডি বিড়লা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী কৃত্তিকা পাল। কৃত্তিকার ময়নাতদন্তে রিপোর্ট বলছে শ্বাসরোধের ফলেই মৃত্যু হয়েছ তার। এত অল্প বয়সে এত ঠাণ্ডা মাথায় নিজেকে হত্যা করার এই ভয়াল শক্তি সে কী ভাবে পেল তা ভেবে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরাও।

কৃত্তিকার সুইসাইড নোটটি ঠান্ডা মাথায় লেখা। তাতে একটিও কাটাকাটি নেই। 'কে' নামক সাংকেতিক কারও উদ্দেশ্যে কৃত্তিকা ভালোবাসা জানিয়েছে। সে লিখেছে. তাকে যেন না ভুলে যায় 'কে'।  এখান থেকে প্রশ্ন উঠছে. এই 'কে' কি কৃত্তিকা নিজেই?  নাকি বয়সন্ধিকালে কৃত্তিকার মনে কোন গোপন ভালবাসার জন্ম হয়েছিল, যার কথা কাউকে বলতে পারেনি কৃত্তিকা? 

দায় কার

কৃত্তিকা তার চিঠিতে লিখেছে পুলিশ যেন তার মৃত্যুর পর বাবা মাকে কোনভাবে বিরক্ত না করে। একটি ১৬ বছরের মেয়ের এত পোড়খাওয়া দূরদর্শিতা চমকে দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। সে মৃত্যুর প্রাক মুহূর্ত ভাবতে পেরেছে মৃত্যুর অব্যবহিত পরের ঘটনা পরম্পরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক সহপাঠীর মা বিস্ফোরক তথ্য দিচ্ছেন।  তাঁর দাবি, 'কৃত্তিকার পরিবার সব সময় চাপে রাখত। কৃত্তিকার দাদু চাইতেন কৃত্তিকা যেন স্ট্যাটিসটিকস পরে। দাদুকে রীতিমত ভয় পেত কৃত্তিকা। কৃত্তিকার বাবা চাকরি সূত্রে  হায়রদরাবাদের বাসিন্দা। ফলে কোচিং দিয়ে আসা নিয়ে আসা থেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, সমস্ত তাই করত কৃত্তিকার মা। ৩ মাস আগেও একবার নিজেকে শেষ করার চেষ্টা করেছিল কৃত্তিকা।  চিকিৎসকরা স্কুল শিক্ষকরা কৃত্তিকার মাকে পরামর্শ দেন তাকে বাড়িতে বাড়তি নজরদারির মধ্যে রাখার। সে কথা কানেই নেননি কৃত্তিকার মা।'

কীভাবে মৃত্যু? 

ঘটনার দিন পেটে ব্যথা করছে এই অজুহাতে কৃত্তিকা সিক রুমের দিকে রওনা হয়।  শিক্ষিকাদের নয়নের মনি তাই তাকে কোন প্রশ্ন করেনি শিক্ষিকারা। কিন্তু দুই পিরিয়ড পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সে না ফেরায় শিক্ষিকাদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এরপর সিক রুমে খোঁজ করে তাকে না পাওয়া যাওয়ায় স্তম্ভিত শিক্ষিকারা নানা জায়গায় খুঁজতে খুঁজতে দেখেন বাথরুমের একটি দরজা বন্ধ। একজন শিক্ষিকা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চেয়ারের ওপর উঠে বাথরুমের উপর থেকে দেখতে পান কৃত্তিকার দেহ। অত উঁচু থেকে ঝাঁপ দিতেও দ্বিধা করেননি তিনি। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। 

গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে ইতিমধ্যেই পুলিশি ময়না তদন্তে বেরিয়ে এসেছে শ্বাসরোধের ফলেই মারা গিয়েছে কৃত্তিকা। এখনই জোর দিয়ে বলা যায়না কৃত্তিকার মৃত্যুর পিছনে মূল কারণ ঠিক কি, তবে এই সিস্টেম, আর অভিভাবকের ক্রমাগত বাড়তে থাকা চাপই যে তাকে অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছে তা তো সে নিজেই লিখেছে সুইসাইড নোটে।  যখন থাকবো না বুঝবে এ কথার কি অন্য কোন মানে আছে?

PREV
click me!

Recommended Stories

Messi Kolkata : অবশেষে অপেক্ষার অবসান! 'সিটি অফ জয়'-এ পা রাখলেন বিশ্বজয়ী লিওনেল মেসি
প্রকাশিত নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউয়ের তালিকা, জোড়া আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এসএসসি