বেহালায় এক গৃহবধূ অস্বাভাবিক মৃত্যু। শ্বশুরবাড়িতে বাথরুম থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতার স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্তরা পলাতক।
বছরে পাঁচেক আগে ভালোবেসে এলাকারই এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন। মেয়ের বয়স তিন বছর। বৃহস্পতিবার বেহালার পর্ণশ্রী থানার পল্লীশ্রী এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিকভাবে মারা গেলেন বৈশাখী শীল নামে এক গৃহবধূ। পাড়া-প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুপুরে বাথরুমে শাওয়ারের পাইপে বৈশাখীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। গলায় লাগানো ছিল ওড়নার ফাঁস। খবর দেওয়া হয় পর্ণশ্রী থানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাটের বহুতল থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার ক্ষতবিক্ষত দেহ, খুনের পিছনে কে-তদন্তে পুলিশ
আরও পড়ুন: বাসে বসার জায়গা নিয়ে ঝামেলা, শেষমেশ যা করল দুই মহিলা
কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন ওই গৃহবধূ? পণের জন্য বৈশাখীর উপর রীতিমতো অত্যাচার করতেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অন্তত তেমনই অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের। তাঁদের বক্তব্য, মৃতার স্বামী গাড়ি চালান। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ভালো ছিলেন না। টাকা না পেয়েই বৈশাখীকে খুন করে দেহটি বাথরুমে ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। কারণ, বাথরুমে শাওয়ারের পাইপের যা উচ্চতা, তাতে সেখান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে কারও পক্ষে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, বুধবার বেহালায় এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। বকুলতলায় ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। বুধবার সকালে ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশের খবর দেন বাড়ির মালকিন। ঘরের দরজা ভেঙে অঞ্জনা ধর নামে ওই বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।