ফের ফেসবুকের হাত ধরে প্রতারণার ফাঁদ। এবার নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফাঁদ পেতেছিল যুবক। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পালানোর পরপরই পুলিশের জালে ধরা পড়ল প্রতারক।
ফেসবুকে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে লেকটাউনের বাসিন্দা এক গৃহবধূর সাথে আলাপ। বেশিদিন লাগেনি আালাপ থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে। সুযোগ বুঝে সরাসরি গৃহবধূকে পালানোর প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত যুবক। ঘটনার দিন গৃহবধূকে দাঁড় করিয়ে ফেরার হয়ে যায় সন্দেশখালির বাসিন্দা সৌমিত্র মন্ডল। গৃহবধূর দাবি,তাঁর সোনার গয়নার ব্য়াগ নিয়েই চম্পটি দেয় অভিযুক্ত। দীর্ঘক্ষণ ওই যুবক ফিরে না আসায় সন্দেহ হয় গৃহবধূর। পরে থানাায় অভিযোগ জানালে, গত ২৫ নভেম্বর লেকটাউন থানার হাতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত সৌমিত্র। পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে গৃহবধূর গয়নাগাটি উদ্ধার করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক সঙ্গী দুলাল হালদারকে।
দুই মামলায় দু' বার মৃত্যুদণ্ড, হাইকোর্টে ফের বাঁচল পচাত্তর বছরের আনিসুর
পুলিশ সূত্রে খবর, গত অগাস্ট মাসে লেকটাউনের বাসিন্দা এক গৃহবধূর সাথে ফেসবুকে আলাপ হয় সন্দেশ খালির বাসিন্দা সৌমিত্র মন্ডলের। সে নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দেয়।সেই পরিচয় তিনদিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরো বেড়ে যায়। এর পর আগস্ট মাসে সৌমিত্র পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় গৃহবধূকে। সেই মতো গৃহবধূ সোনা টাকা নিয়ে আনন্দ পুরে অপেক্ষা করে। সেখানে সৌমিত্র এসে তাকে দাঁড়াতে বলে তার ব্যাগটি নিজের কাছে নিয়ে নেয়। একটু কাজ আছে বলে ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায় সে।
ভোর রাতে ঠান্ডা থাকলেও বেলা গড়ালে কিছুটা গরম, এখনও লাগছে পাখার হাওয়া
বেগতিক বুঝে এরপর ১৬ নভেম্বর লেকটাউন থানায় অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ তারিখ বিধাননগর কোর্টে তোলা হয় সৌমিত্রকে। ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই কেসে বাঁশদ্রোনি এলাকা থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। যার নাম দুলাল হালদার। দুলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি যাওয়া সমস্ত মাল উদ্ধার করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ। আজ বিধান নগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে ।