চোখে পেরেক ঢুকে গিয়েছিল। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইনস্টিটিউট অফ রিজিওনাল অপথ্যালমলজিতে। তার পরেও বাঁচানো গেল না বছর পঁচিশের এক যুবকের চোখ। পরিবারের অভিযোগ, পেরেক ঢুকে যাওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টা পরে অস্ত্রোপচার করায় সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে ওই যুবকের চোখ বাদ দিতে হয়েছে।
চোখ খোয়ানো ওই যুবকের নাম রাজা নস্কর। তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বারুইপুরের বাসিন্দা। ওই যুবকের পরিবার জানিয়েছে, শিয়ালদহে একটি ছাপাখানায় কাজ করার সময় পেরেক ছিটকে এসে তাঁর ডান চোখে ঢুকে। দ্রুত তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি-তে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ছ'টা বেজে যাওয়ায় আল্ট্রাসোনোগ্রাফি বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। তাই যুবকের চোখের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করাই যায়নি। ফলে পেরেক চোখের কোথায় আটকে আছে, তা বুঝতেই পারেননি চিকিৎসকরা।
এর পর মঙ্গলবার চোখের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করা গেলেও অস্ত্রোপচার হয়নি। বুধবার ওই যুবকের চোখের অস্ত্রোপচার করে পেরেক বের করা হয়। তার পরেও অবশ্য সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা জানান, যুবকের ডান চোখের সংক্রমণ বাঁ চোখেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে যুবকের অন্য চোখটি বাঁচাতে শুক্রবার অস্ত্রোপচার করে ডান চোখটি বাদ দেন চিকিৎসকরা। এর পরই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালের অধিকর্তার কাছে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, আটচল্লিশ ঘণ্টা পর অস্ত্রোপচার হওয়াতেই ওই যুবকের চোখ বাদ গিয়েছে।
হাসপাতালের সুপার অসীমকুমার ঘোষ অবশ্য দাবি করেন, সংক্রমণ আটকাতে সবরকম পদক্ষেপই করা হয়েছিল। অ্যান্টি বায়োটিক ছাড়াও দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় ইনজেকশন। কিন্তু পেরেকের সঙ্গে যে সংক্রমণ বাইরে থেকে ওই যুবকের চোখে ঢুকেছিল, তা তাঁকে ছাড়েনি। যদিও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।