টানা ৮০ বছর চুলে কাঁচি-চিরুনী পড়েনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ৯২ বছরের বৃদ্ধ

  • লকডাউনের কারণে অনেকেরই চুল বড় হয়ে গিয়েছে
  • ভ্যান চিয়েন-এর সঙ্গে এই বিষয়ে কারও তুলনা হবে না
  • বিগত ৮০ বছর ধরে চুল কাটেননি তিনি
  • চুলে চিরুনীও করেননি প্রায় ৮০ বছর

deblina dey | Published : Aug 27, 2020 10:58 AM IST / Updated: Aug 27 2020, 04:30 PM IST

করোনা মহামারির জেরে লকডাউনের কারণে বিশ্ব জুড়ে অনেকেরই স্বাভাবিকের তুলনায় চুল বড় হয়ে গিয়েছে। কারণ দীর্ঘ একটা সময় সেলুন বা পার্লার বন্ধ থাকা,আর নিজ দায়িত্বে চুল কাটায় ভরসা না থাকা। তবে ভিয়েতনামের নুগেইন ভ্যান চিয়েন-এর সঙ্গে এই বিষয়ে কারও তুলনা হবে না। ভিয়েতনামে বসবাসরত ৯২ বছর বয়সী নুগেইন, বিগত ৮০ বছর ধরে চুল কাটেননি।

আরও পড়ুন- শরীর মনের একাধিক সমস্যার সমাধান, ভয়ঙ্কর 'নাইফ থেরাপি'-তে ঝুঁকছে একাধিক মানুষ

শুনতে অবাক মনে হলেও এটাই সত্য, ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলের মেকং ডেল্টা অঞ্চলের ৯২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বর্তমানে পাঁচ-মিটার লম্বা জটার গর্বিত মালিক। অশতীপর এই বৃদ্ধ ৮০ বছর ধরে চুল কাটেননি। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন,  'চুল কেটে ফেললেই আমি মারা যাব। আমি চুলে কোনও ধরণের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি না। চুল চিরুনি করি না। আমি চুলে জলও দেইনা, শুধু পরিষ্কার রাখার জন্য একটি কাপড় বেঁধে রাখি।'

 

নুগেইন আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়েন, তখন তাঁর স্কুলে চুল কাটতে নাপিত ডাকা হয়েছিল। সেখান থেকে তিনি চুল কাটার ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি স্থির করেছিলেন যে, তিনি কখনই আর চুল কাটবেন না, চিরুনিও করবেন না, আর চুল ধোবেনও না। প্রথম দিকে তিনি চুলে চিরুনী ব্যবহার করতেন। সেই সময় তাঁর চুল কালো ও মজবুত ছিল। ফলে চুলের জট ছাড়াতে বেশ সমস্যায় পড়তে হত। তিনি বলেন, 'যখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে ঈশ্বর চান না যে, আমি চুলের সঙ্গে কোনও প্রকার খেলা করি, তখন থেকে আমি চিরুনি করাও ছেড়ে দিই।'

আরও পড়ুন- প্রায় জনমানব শূন্য গ্রাম, মানুষের বদলে সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে সব পুতুল

নাগুয়েনের পঞ্চম পুত্র, নুগেইন ওয়েন লুমম বর্তমানে বাবার চুলের যত্ন নিতে সহায়তা করে। তাঁরা বিশ্বাস করে যে, চুল কাটা মানুষের পক্ষে খারাপ হতে পারে। লুম জানায়, এই সমস্ত জিনিস ঈশ্বরপ্রদত্ত এবং পবিত্র। মানুষ এগুলো জন্মসূত্রে ঈশ্বরের থেকে পান। তাই বাবার মত সেও মাথায় কাপড় জড়িয়ে রাখেন।

Share this article
click me!